গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল ◑
টেকনাফে মাসিক আইন-শৃংখলা সভায় বক্তারা বলেছেন টেকনাফ সীমান্ত উপকুল দিয়ে মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা ইয়াবা পাচার বৃদ্ধি ও মাদক ব্যবসায়ীদের অপতৎপরতা পূণরায় বেড়ে গেছে এবং অত্র এলাকার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশংখা রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।
১৪ সেপ্টেম্বর (সোমবার) সকাল ১০টার দিকে টেকনাফ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে উক্ত সভা অনুষ্টিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম। জেলা পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ শফিক মিয়া,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহেরা আক্তার মিলি,উপজেলা আওয়ামীলীগ জহির হোসেন এমএ,সোনা আলী, আবুল কালাম,বাহারছড়ার ইউপি চেয়ারম্যান মৌলভী আজিজ উদ্দিন, হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী,
সাবরাং ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান শরীফ হোসেন। আরো উপস্থিত ছিলেন, সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, মাদক পাচার অব্যাহত রাখার জন্য যে সমস্ত অপরাধীরা ফের সক্রিয় হচ্ছে সেই সমস্ত অপরাধীদের আইনের আওয়তাই নিয়ে আসতে না পারলে অত্র উপজেলার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশংখা রয়েছে।
টেকনাফ সাবরাং ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান অভিযোগ করে বলেন, সাবরাং উপকুলীয় এলাকা থেকে পুনরায় ইয়াবার পাচার আগ্রাসন বেড়ে গেছে। এবং বর্তমানে মাদক ব্যবসায় জড়িত বেশ কয়েকজন অপরাধীর নাম প্রকাশ করে তাদেরকে আইনের আওয়তাই নিয়ে আসার জন্য আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহবান জানান।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত কয়েকদিন ধরে সাবরাং উপকুলীয় এলাকা থেকে আইন-শৃংখলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়া ইয়াবার চালান গুলোর সাথে সক্রিয় ভাবে জড়িত মাদক ব্যবসায়ীরা হচ্ছে,
সাবরাং ইউপি কাঠাবনিয়া এলাকার দুদু মিয়ার পুত্র নবী হোসেন,জিনাপাড়া এলাকার মৃত ফজল আহাম্মদের পুত্র রশিদ আহাম্মদসহ একটি বড় সিন্ডিকেট মিয়ানমার থেকে পাচার করে নিয়ে আসছে লক্ষ লক্ষ বস্তাবন্ধি মরননেশা ইয়াবার চালান।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-