হামলার রোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন ইউএনওর মা

ডেস্ক রিপোর্ট ◑ দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন তার মা। তিনি বলেন, যে ছেলেটা আক্রমণ করেছে- সে বাথরুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে ভেতরে ঢুকেছে। আমার মেয়ে ঘুমে ছিল, সেই সময় আক্রমণ করেছে। তখন ওয়াহিদা চিৎকার করে বলেছে, আব্বা দেখেন-তো কোন বেয়াদব বাসায় ঢুকেছে।
ওয়াহিদা খানমের তিন বছরের ছেলেকে নিয়ে বর্তমানে রংপুর সার্কিট হাউজে অবস্থান করছেন তার মা। সেখানেই তিনি গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, প্রথমে ওয়াহিদার ওপর হামলা করে ওই ছেলে। ওই সময় তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তার বাবার ওপর হামলা চালায় সে। হামলাকারীর চেহারকা দেখতে পারিনি, মুখ ঢাকা ছিল। তার সাইজটা খাটো। ভেতরে একজনই ঢুকেছিল।

আরো পড়ুন: যেসব কারণে হামলার শিকার হন ইউএনও ওয়াহিদা

এ সময় মেয়ের ওপর এমন হামলায় তীব্র প্রতিবাদ ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন ইউএনও ওয়াহিদা খানমের মা।

এর আগে, বুধবার রাতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে দুই দুর্বৃত্ত। ওই সময় বাসার নৈশপ্রহরীকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ভোরে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবাকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে ইউএনওকে রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাতুড়ির আঘাতে ওয়াহিদা খানমের মাথার খুলি ভেঙে ভেতরে ঢুকে গেছে। এতে তার ডান হাত ও পা অচল হয়ে পড়েছে। এখনই অপারেশন করা সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে, এ ঘটনায় রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুলিশ ও র‌্যাব বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত ও গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম জানান, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে- হামলাকারীরা দুইজন ছিল। তাদের একজনকে মাস্ক পরা অবস্থায় দেখা গেছে। আরেকজনের চেহারা বোঝা যাচ্ছিল না।

আরও খবর