টেকনাফে ফের মালিকবিহীন ৪ লাখ ২৪ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ

গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল  ◑

সীমান্ত শহর টেকনাফে নাফনদীর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে  আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা মরননেশা ইয়াবার পাচার আগ্রাসন!

অনুসন্ধানে দেখা যায়, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় বসবাসকারী মাদক কারবারে জড়িত সাবেক এবং বর্তমান রোহিঙ্গা অপরাধী চক্রের সদস্যরা টেকনাফ সীমান্ত এলাকা নাফনদী অতিক্রম করে মিয়ামার থেকে পাচার করে নিয়ে আসছে বস্তাভর্তি লক্ষ লক্ষ ইয়াবার বৃহৎ চালান।

এদিকে ২ সেপ্টেম্বর রাতে টেকনাফ সীমান্ত প্রহরী ২ বিজিবি সদস্যরা হ্নীলা দমদমিয়া নাফনদী সীমান্ত উপকুল অভিযান পরিচালনা করে মালিকবিহীন ৫টি প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর থেকে আবারও ৪লক্ষ,২৪ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।

তবে এই ইয়াবার চালানের সাথে জড়িত অপরাধীরা বিজিবির চোঁখ ফাঁকি দিয়ে কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার কারনে কোন অপরাধীকে আটক করতে পারেনি বিজিবি।

বিজিবির পাঠানো প্রেস বার্তায় জানা যায়,
টেকনাফ ২বিজিবির আওতাদ্বীন হ্নীলা দমদমিয়া বিওপিতে দায়িত্ব পালনকারী সদস্যদের একটি টহল দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে নাফনদী অতিক্রম করে মিয়ানমার হতে একটি বৃহৎ ইয়াবার চালান বাংলাদেশ সীমান্ত উপকুলে প্রবেশ করবে।

সেই গোপন সংবাদের তথ্য অনুযায়ী ২ সেপ্টেম্বর (বুধবার) গভীর রাত আনুমানিক ৯টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের অন্তর্গত দমদমিয়া বিওপিতে কর্মরত নাফনদী সীমান্ত উপকুলে টহল দলের বিজিবি সদস্যরা দেখতে পায় মাদক পাচারে জড়িত কয়েকজন যুবক নাফনদী সাঁতরিয়ে নাফনদী বেড়িবাঁধের উপর উঠার চেষ্টা করছে। এরপর বিজিবি সদস্যরা তাদের চ্যালেঞ্জ করে থামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ইয়াবা পাচারে জড়িত অপরাধীরা বিজিবির উপস্থিতি বুঝতে পেরে তাদের সাথে থাকা ৫টি প্লাস্টিকের বস্তা ফেলে দিয়ে নদীতে লাফ দিয়ে সাঁতরিয়ে বাংলাদেশের শুন্যরেখা অতিক্রম করে কৌশলে মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যায় বলে জানায় বিজিবি।

এদিকে বিজিবি ঘটনাস্থল তল্লাশী করে পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া ইয়াবাভর্তি ৫টি প্লাস্টিকের বস্তা উদ্ধার করে তার ভিতর থেকে ৪লক্ষ,২৪ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
বিজিবির দাবী এই ইয়াবা গুলোর আনুমানিক মুল্য ১২কোটি,৭২ লক্ষ টাকা।

মালিকবিহীন এই ইয়াবার চালানটির উদ্ধারের
সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ ২বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খাঁন (পিএসসি) বলেন।

মাদক কারবারে জড়িত অপরাধীরা ইয়াবা পাচার অব্যাহত রাখার জন্য এখনো সক্রিয় রয়েছে। তবে তাদের সেই অপচেষ্টা প্রতিরোধ করতে সীমান্ত প্রহরী বিজিবি সৈনিকরা সদা প্রস্তুত রয়েছে।

তারই ধারাবাহিকতায় বিজিবি ইয়াবার এই বড় চালানটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তিনি আরো বলেন, উদ্ধারকৃত এই ইয়াবা চালানের সাথে জড়িত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওয়তাই নিয়ে আসার জন্য বিজিবির গোয়েন্দা সদস্যদের গোপনী অভিযান চলমান রয়েছে।

আরও খবর