দীর্ঘ ৩৫ মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে জন্ম নিবন্ধন সার্ভার খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে শিগগিরই শুরু হবে নিবন্ধন কার্যক্রম।
সোমবার বিকাল ৩ টায় উখিয়া উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে অনুষ্টিত এক সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানান অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ সচিব শ্রাবস্তী রায়।
স্থানীয় সরকার শাখার উপ পরিচালক শ্রাবস্তি রায় জানান, কক্সবাজারবাসীর দীর্ঘদিনের কাঙ্খিত জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম ১২টি ইউনিয়নে গতকাল ৩১ আগষ্ট থেকে চালু করা হয়েছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এটি। ৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ ও ৪টি পৌরসভার মধ্যে প্রথম ধাপে ১২টি ইউনিয়ন পরিষদে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
উখিয়ার ইউনিয়ন পরিষদসমুহ হলো হলদিয়াপালং এবং রত্নাপালং। পরবর্তীতে সব সার্ভার খুলে দেওয়া হবে।
তবে, রোহিঙ্গা অধ্যুষিতের কথা মাথায় রেখে জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদানে কিছুটা কড়াকড়ি আরোপেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগের মতো ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বা সচিব সরাসরি জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদান করতে পারবেন না।
উপজেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি আবেদনকারীদের জন্মস্থান এবং জাতীয়তা যাচাই করে জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদান করতে পারবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উখিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী। অন্যন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুনেচ্ছা বেবি, ভাইস চেয়ারম্যান জাহাংগীর আলম, উখিয়া প্রেসক্লাব সভাপতি সরওয়ার আলম শাহীন,চেয়ারম্যান যথাত্রুমে খাইরুল আলম চৌধুরী, অধ্যক্ষ শাহ আলম,গফুর উদ্দিন চৌধুরী ও নুরুল আমিন চৌধুরী সহ ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার, সচিব ও স্থানীয় সরকার বিভাগের অন্যন্য কর্মকর্তারা।
সূত্রমতে, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর থেকে প্রতিবেশী মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের স্বীকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা। পুরনোসহ দেশে আশ্রিত রোহিঙ্গার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২ লাখ। আশ্রিত এসব রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় উখিয়া কক্সবাজারসহ কয়েকটি জেলার অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম। এর মধ্যে কেটে গেছে প্রায় ৩৫ মাস।
এদিকে, দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারণে ভোগান্তির শেষ ছিলো না স্থানীয়দের। ভোটার তালিকা হালনাগাদ থেকে শুরু করে চাকরির আবেদন, শিক্ষা প্রতিষ্টানে ভর্তিসহ জন্ম নিবন্ধন সনদ দরকার হওয়া সকল কাজ নিয়ে দুর্ভোগ চরমে ওঠে সেবা প্রত্যাশীদের। এসব জানিয়ে মন্ত্রণালয়ে কয়েকদফা চিঠি পাঠান জেলা প্রশাসন। এর ফলস্বরূপ জন্মনিবন্ধন সার্ভার খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয় এমনটাই দাবী স্থানীয় সরকার বিভাগের।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-