মরহুম নাছিরের তিন শিশুর পাশে দাড়িয়েছে ‘সেভ দ্যা হিউমিনিটি কক্সবাজার’

প্রেস বিজ্ঞপ্তি ◑

আজ ৩১ আগস্ট’ ২০২০ খ্রীঃ, সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে উপদেষ্টা মন্ডলী, সদস্য ও শুভাকাংখী ভাইদের আন্তরিক সহযোগিতায় ‘সেভ দ্যা হিউমিনিটি কক্সবাজার’ এর নির্বাহী সদস্যগণ ১টি সেলাই মেশিন, তিনটি ছাগল, এক বস্তা চাউল, পাঁচ কেজি ডাল, পাঁচ কেজি তেল ও তিন কেজি পেয়াজ সহ ১৬নং প্রজেক্টের এই প্যাকেজটি নিয়ে মরহুম নাছির ড্রাইভারের বিধবা স্ত্রী ও তিন অনাথ শিশুর পরিবারে গিয়ে হাজির হয়। সংগঠনটির নির্বাহী সদস্যগণ এই প্যাকেজটি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জনাব আব্দুর রশিদের মাধ্যমে তাদের পরিবারের মাঝে তুলে দেন।

স্বল্প সহযোগিতা দিয়ে কোন অনাথ পরিবারের অভাব মেটানো কখনো সম্ভব নই। হয়তো কারও সহযোগিতায় পরিবারটির সর্বোচ্চ ১/২ মাস কোনমতে চলবে। এটা কোন সমস্যার স্থায়ী সমাধান হতে পারেনা। সংগঠনটির নির্বাহী সদস্যগণ সংবিধানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের আলোকে মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণ ও হতদরিদ্র, অনাথ পরিবারকে কিভাবে অন্যের কাছে হাত পাতার মতো এই অভিশপ্ত বন্দীদশা থেকে মুক্তি দিয়ে স্বাবলম্বী করা যায় সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

সদরের খরুলিয়া মাষ্টারপাড়ায় অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছিলো এক বিধবা মা ও অনাথ তিন শিশুর। নিয়তির কাছে একটি সাজানো পরিবার যেন হেরে যায়, “কপালের লিখন যায়না খন্ডন”। নিঃস্ব পরিবারে তিন অনাথ শিশুর দুঃখিনী মা সুমি আকতারের জীবনে নেমে এসেছে যেন ঘোর অন্ধকার।

সন্তানের মুখে দুমুঠো অন্ন তুলে দিতে সমাজের স্বচ্ছল মানুষের ধারে ধারে হাত পেতে যাচ্ছেন যা তিনি এক মাস আগেও কোনদিন ভাবেননি।
একটি সুখের সাজানো সংসার ছিলো তাদের, ফুটফুটে দুই মেয়ে ও এক ছেলে ছিলো তাদের। হঠাৎ একদিন গত মাস খানেক আগে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে সুমি আকতারের স্বামী নাছির উদ্দিনের অকাল মৃত্যু হয়। সেই থেকে তাদের পরিবারে নেমে আসে চরম এক দুঃসহ যন্ত্রণা।

সপ্তাহখানেক আগে জেলার মানবিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সেভ দ্যা হিউমিনিটি কক্সবাজার’ এর টিম সরজমিনে পর্যবেক্ষণে যায় অসহায় সুমির পরিবারের কাছে। বিধবা সুমি আকতারকে সংগঠনের জরুরী তহবিল থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন সংগঠনটির নির্বাহী সদস্যগণ।
সংগঠনটি উক্ত জরুরি সাহায্যের প্যাকেজটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে তাদের ১৬তম প্রজেক্ট সম্পন্ন করলো বলে নিশ্চিত করেন সেভ দ্যা হিউমিনিটি কক্সবাজার কর্তৃপক্ষ।

আরও খবর