টেকনাফে জুতা নিক্ষেপ ও মল ছিটিয়ে ওসি প্রদীপের ছবিতে ঘৃণা!

খাঁন মাহমুদ আইউব ◑
সিনহা হত্যামামলায় বহিস্কৃত সাবেক ওসি প্রদীপ কক্সবাজারের টেকনাফ থানায় দায়িত্বকালে নিজের জুলুম অত্যাচার নির্যাতনের চিত্র ঢাকতে বেছে নিয়েছিলো বিভিন্ন অভিনবপন্থা।

শহরের অলিগলি প্রধান সড়কের দুপাশে নিজের এবং তার সমমনা স্থানীয় নেতাদের বিশালাকার ছবি সাটিয়ে লিখেছিলো বিভিন্ন ফিরিস্তির বাণী। এখন সেসব ছবিতে মানুষ জুতা নিক্ষেপ করে মল ছিটিয়ে ঘৃনা জানাচ্ছে। এসব ছবি গুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ছবি গুলো অপসারনের দাবী তোলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিনহা হত্যামামলার আসামী টেকনাফ থানা বহিস্কৃত ওসি প্রদিপের অত্যাচার ক্ষুব্দ টেকনাফ উপজেলার জনসাধারণ।

তার দায়িত্বকালীন সময়ে মাদক প্রতিরোধের নামে মানুষ হত্যা, গায়েবী হামলার নামে মানুষের বাড়ি ঘর ব্যবসা প্রতিষ্টানে অগ্নি সংযোগ, নারী নির্যাতন, লুটপাটসহ আরো বিভিন্ন অপরাধের মাধ্যমে টেকনাফ উপজেলাকে নরকে পরিনত করে তুলে ছিলো। নিজের অপকর্ম ঢাকতে শহরের প্রধান সড়কের পাশে বড় বড় সীমানা প্রাচীর, ঈদগাহ মাঠের প্রাচীর, থানার প্রাচীরের বাহিরে বিভিন্ন রকমের মাদক বিরোধী স্লোগান লিখা প্রতিটি ৮-১০ ফিট ব্যানারে নিজের ছবি পাশাপাশি তার অপকর্মের সমর্থনকারী বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের ছবি সাটিয়েছিলো। এসব ছবির নিছে লিখে ছিলো ফিরিস্তির বানী।

এছাড়াও তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভারতীয় বিতর্কিত ইসলামী শরিয়াহ বিরোধী তালাক আইনকে এদেশে প্রতিষ্টিত করার জন্য “তিন তালাকে বিচ্ছেদ নয়, মুছে যাক সংশয়” লিখা ব্যানার সাটিয়েছিলো। পরে স্থানীয় আলেমদের প্রতিবাদের মুখে লজ্যাজনক ভাবে এই আইন সম্পর্কে তার জানানেই বলে আলেমদের কাছে ক্ষমা চেয়ে তা সরিয়ে ফেলতে বাধ্য হয়ে ছিলো। তার দায়িত্বকালীন সময়ে মৃত্যুর ভয়ে তার অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস করেনি।

অবশেষে প্রদীপ আটকের পর পুলিশের পোষাক পরিহিত সেসব ছবিতে তার মুখে জুতা নিক্ষেপ এবং মুখে মল লেপ্টে দেয়া ঘৃনা ভরা এমন কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে।

গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব ছবির নিচে প্রদিপের কৃতকর্ম তুলেধরে তুলোধোনা করে মন্তব্য করতে দেখা গেছে অনেককে।

আবার অনেকে মন্তব্যে লিখেছে এসব ছবিতে যেহেতু প্রদিপের গায়ে পুলিশের পোষাক রয়েছে সেহেতু এভাবে অপমান করাটা গোটা বাহিনীর ভাবমূর্তির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। আবার অনেকে পুলিশের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে অতি দ্রুত প্রদিপের এসব ছবি ও ধর্মীয় আপত্তিকর পোষ্টার গুলো সরিয়ে ফেলার দাবী জানান।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেশের কোন থানার ওসিদেএ এধরনের নিজের ছবি দিয়ে প্রচারনার কোন নজির নেই। তবে এভাবে নিজের ছবি দিয়ে কোন কিছু ছাপানোর নিয়ম নেই বলে জানিয়েছেন পুলিশ সূত্র।

এবিষয়ে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাওয়া হলে কোন রকম মন্তব্য না করে এড়িয়ে যান বিষয়টি।

আরও খবর