বিশেষ প্রতিবেদক ◑
উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন বিভিন্ন ক্যাটাগরির গ্রাহকদের ভৌতিক বিল ধরিয়ে দিয়ে আর্থিকভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
যদিও পল্লী বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্টরা বলছেন মিটার রিডিংয়ের চাইতে অতিরিক্ত বিল হলে তা সংশোধন করার সুযোগ রয়েছে, তবুও গ্রাহকদের অভিযোগ, এসব ভৌতিক বিল সংশোধনের জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে বার বার ধর্ণা দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। অতিষ্ট প্রায় ৪০ হাজার গ্রাহক। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারীরা গ্রাহকদের মিটার বদলানোর আবেদনের পরামর্শ দিচ্ছেন।
উখিয়া সদর কাজী পাড়ার বাসিন্দা কাজী জসিম উদ্দিন অভিযোগ করে জানান, তার মিটার রিডিংয়ের সঙ্গে বিদ্যুৎ বিলের কোনো সামঞ্জস্যতা নেই।
একাধিক গ্রাহক জানান, মিটার রিডিং সংগ্রহের দায়িত্বে নিয়োজিত পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারী বাড়ি বাড়ি না গিয়ে দোকানে বা অফিসে বসে মনগড়া রিডিং করছে। তাদের ধারণা, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এক শ্রেণির অসাধু কর্মচারী ব্যাটারি চালিত রিকসা ও টমটমে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে কালো টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
সম্প্রতি উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মাসিক আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী সরাসরি অভিযোগ করে জানান, তার বাড়িতে ইতিপূর্বে আটশ টাকার বিল দেওয়া হতো। চলতি মাসে তাকে বিল দেওয়া হয়েছে দুই হাজার টাকা। তিনি বলেন, তার মতো শত শত গ্রাহক পল্লী বিদ্যুতের গায়েবি বিল নিয়ে প্রতিনিয়ত তার কাছে অভিযোগ আসছে। এ অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেও কোনো সদুত্তোর পাওয়া যায়নি।
এব্যাপারে উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম গোলাম সরওয়ার মোর্শেদ বলেন, এ উপজেলায় মোট ৪০ হাজার পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে। এর মধ্যে আবাসিক ৩২ হাজার, বাণিজ্যিক সাত হাজার ও অন্যান্য গ্রাহক এক হাজার। কোনো কারণে বিদ্যুৎ বিল বেশি হলে তা সংশোধন করার সুযোগ রয়েছে। তবে উক্ত বিল নিয়ে অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-