করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যারা সুস্থ হয়েছেন তারা এখন নানাবিধ রোগের সম্মুখীন হচ্ছেন। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৮২ হাজার ৮৭৫ জন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষের মধ্যে অন্য রোগ ধরা পড়েছে। জ্বর, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, স্ট্রোক, অনিদ্রা, স্মৃতিভ্রম, অবসাদ, বেশি সময় কথা বললে নিঃশ্বাসের সমস্যা। এমনকি অনেকের হাত ও পায়ের নখ কালো হয়ে যাচ্ছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, সবার লক্ষণ এক নয়। তবে সমস্যা কমবেশি সবারই হচ্ছে।
নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার পর ৪২ শতাংশ রোগীকে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্য বিজ্ঞানী ডা. আব্দুন নূর তুষারের অভিজ্ঞতা হচ্ছে, যারা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আগে ডায়াবেটিক ছিলেন না তারা ডায়াবেটিক হয়েছেন। আর যারা ডায়াবেটিকে আক্রান্ত ছিলেন কিন্তু ওষুধ সেবন করতেন এখন তাদেরকে ইনসুলিন নিতে হচ্ছে। অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হওয়া প্রসঙ্গে ডা. তুষার বলেন, এটাকে বলা হয় পোস্ট কোভিড সিনড্রোম।
ওদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা, শনাক্তের সংখ্যা ও মৃত্যু বেড়েছে। মারা গেছেন ৪২ জন। আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ৪৮৫ জন। আগের দিন মৃত্যু হয়েছিল ৩৪ জনের। আক্রান্ত হয়েছিলেন এক হাজার ৯৭৩ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত তিন হাজার ৯৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, সরকার এই মুহূর্তে এন্টিবডি টেস্টের অনুমোদন দেবে না। র্যাপিড টেস্টের অনুমোদন না দেয়ার পক্ষেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে করোনার এন্টিজেন টেস্টের অনুমোদন দেয়া হবে।
স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা বলছেন, এন্টিবডি পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায়, করোনা থেকে যারা সুস্থ হয়েছেন তাদের শরীরে এন্টিবডি তৈরি হয়েছে কিনা।
সূত্র : ভোয়া
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-