গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল ◑
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কারনে প্রাকৃতিক দৃর্শ্যঘেরা টেকনাফের বনভুমি গুলো দিনের পর দিন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে অত্র উপজেলার শত শত হেক্টর বনভুমি দখল করে নিয়েছে রোহিঙ্গারা।
তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা আসার পর প্রায় দুই হাজার হেক্টর বনভুমির গাছপালা গুলো উজাড় করে বসতি স্থাপন করে।
নতুন রোহিঙ্গাদের আগমনের আগেও দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে অত্র এলাকায় বসবাস করে আসছে তিন লাখের অধিক রোহিঙ্গা।
এদিকে ২০১৭ সালে বিপুল সংখ্যাক রোহিঙ্গাদের একসাথে আগমন হওয়ার পর থেকে প্রাকৃতিক দৃর্শেঘেরা বনভুমির গাছপালা,পাহাড় গুলো ধ্বংস করে যে পরিমান পরিবেশ বিপর্যয় করেছে তা বিশ্বের আর কোথাও হয় নাই। গত তিন বছর আগে মিয়ানমার নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের বসতি স্থাপন করার জন্য বাংলাদেশ সরকার ৩৩ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প তৈরী করতে প্রথমে ৬১৬৪ একর বনভুমির জায়গা নির্ধারন করে দেয়। কিন্তু এই রোহিঙ্গারা অত্র এলাকার অসাধু অর্থলোভী কিছু ভুমিদশ্যুদের টাকার লোভে পেলে বিভিন্ন কৌশলে আরো ৭ হাজার একর বনভুমি তারা দখল করে বসতী স্থাপন করেছে। এতে দিনের পর দিন বিলিন হয়ে যাচ্ছে সৌন্দর্যের লীলাভুমি পাহাড় গুলো।
পাহাড়ে বসতি স্থাপন করা রোহিঙ্গারা প্রতিনিয়ত ছোট,বড়,গাছ গুলো কেটে উজাড় করার কারনে
বণ্যহাতি গুলো লোকালয়ে প্রবেশ করে স্থানীয়দের ফসলি জমি গুলো নষ্ট করছে। আবার হাতির আক্রমনে অনেক মানুষ প্রানে মারা গেছে।
টেকনাফ প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্টাতা সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক ছৈয়দ হোসেন দুঃখ প্রকাশ করে বলেন,রোহিঙ্গাদের কারনে স্থানীয়দের ক্ষতির তালিকা দীর্ঘ আকার ধারন করছে।
পাশাপাশি খাদ্য-সামগ্রী এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষ গুলো দ্বীগুন দামে ক্রয় করতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন পাহাড়ে থাকা গাছপালা গুলো কেটে পেলার কারনে শেষ হয়ে যাচ্ছে অক্সিজেন ভান্ডার।
এব্যাপারে টেকনাফ উপজেলায় দায়িত্বরত বনকর্মকর্তা ছৈয়দ আশিক আহাম্মদ বলেন,
রোহিঙ্গাদের কারনে অত্র উপজেলার ৬ হাজার হেক্টর বনভুমির গাছপালা গুলো ধ্বংস হয়ে গেছে।
তাদের কারনে অত্র এলাকার পরিবেশ এখন হুমকির মুখে। তিনি আরো বলেন পরিবেশের ক্ষতি চোখে দেখা যায় না।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ এসে যখন কোন বিধ্বংসী আকার ধারন করে তখন বুঝা যায় পরিবেশের ক্ষতি সাধন করলে কি হয়। যেমন ভুমিধ্বস,পাহাড় ধ্বস,পানির স্তুর কমে যাওয়া, অক্সিজেনের সংকটে বন্যপ্রাণী মারা যাওয়াসহ ইত্যাদি।
তিনি আরো বলেন, যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়ন করলে অত্র এলাকার পাহাড়ী বনভুমি গুলো আগের অবস্থানে ফিরে আসবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-