যমুনা নিউজ ◑
সাবেক মেজর সিনহা হত্যা মামলায় কারাগার ও রিমান্ডে যাবার পর এই প্রথম মুখ দেখাদেখি হলো টেকনায় থানার সাবেক ওসি প্রদীপ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত ও এসআই নন্দদুলালের।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিনিয়র এএসপি খাইরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ৬ আগস্ট আদালতের নির্দেশে সাত দিনের রিমান্ডের পর তাদেরকে বেশ কয়েকদিন রাখা হয় কক্সবাজার কারাগারে। সেখানে নিরাপত্তার স্বার্থে তাদেরকে আলাদা সেলে রাখা হয়েছিল। সিনহা হত্যা মামলার এই তিন আসামিকে রিমান্ডে আনার পর আলাদা আলাদা করেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রিমান্ডে এখনো পর্যন্ত এই তিনজনকে মুখোমুখি করা হয়নি।
আজ দুপুর দুইটার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে নিয়ে গেলে ১৭ দিন পর তিনজনের মুখ দেখাদেখি হয়। সেখানে তাদের এই মামলা নিয়ে কথা বলতে দেখা যায়।
বেলা তিনটার পর কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের আনা হলে এজলাসেও তারা শলাপরামর্শ করছিলেন। রিমান্ড শুনানির জন্য আদালত বসার পর তারা তিনজন একসাথে রিমান্ডে তাদের নির্যাতন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। এ সময় ওসি প্রদীপ ইন্সপেক্টর লিয়াকতের পায়ের কাপড় সরিয়ে আদালতকে দেখান। ইন্সপেক্টর লিয়াকত ও এসআই নন্দদুলাল কিছুটা চুপ থাকলেও এজলাসে মিনিট দশেক ছিলেন টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাস।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম জাকারিয়া গণমাধ্যমের কাছে এজলাসে হওয়া এসব কথোপকথনের কথা স্বীকার করেন।
তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম জানান, যেকোনো আসামিকে আদালতে আনা এবং নেয়ার সময় সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। সেসব রিপোর্টও আদালতে উপস্থাপিত হয়। সেখানে কোনো নির্যাতন বা অসুস্থতার প্রমাণ নেই। সুতরাং আসামিদের নির্যাতনের এই অভিযোগ মিথ্যা।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-