দৈনিক কক্সবাজার ৭১ অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতার-১

নিজস্ব প্রতিনিধি:

দৈনিক কক্সবাজার ৭১ পত্রিকা অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ফরিদুল হক (নান্নু) কে গ্রেফতার করেছে কক্সবাজার থানা পুলিশ।

গতরাত শহরের টেকপাড়ায় অভিযান চালিয়ে থাকে আটক করা হয়।

পত্রিকা অফিস সূত্র জানায়, দৈনিক কক্সবাজার একাত্তর পত্রিকায় ধারাবাহিক অনুসন্ধানী নিউজ করতে থাকলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে তদবির করেন টেকপাড়া এলাকার মৃত নুরুল হক কোম্পানী ছেলে ফরিদুল হক (নান্নু)। বিষয়টি এড়িয়ে গেলে গতকাল বিকাল ৩টা ৫৮মিনিটের সময় ৪/৫ জন স্বসস্ত্র সন্ত্রাসী নিয়ে দৈনিক কক্সবাজার ৭১ অফিসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাঙচুর চালায়। এতে অফিসের কম্পিউটার সহ আসবাবপত্রের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তাছাড়া বেশ কিছু জরুরী কাগজপত্র নিয়ে যায়।
এতে জেলার সাংবাদিকরা চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ বেলাল উদ্দিন বেলাল বলেন, অফিসে কেউ না থাকা অবস্থায় নান্নু ও তার ইয়াবা সিন্ডিকেট বাহিনী অতর্কিত হামলা করে অফিসে সংরক্ষণে থাকা মুল্যবান কাগজপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহাজাহান কবির ততক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি বলেন,অপরাধী যে হোক না তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

এ ব্যাপারে দৈনিক কক্সবাজার একাত্তর পত্রিকার সম্পাদক রুহুল আমিন সিকদার বলেন, বিকেল সাড়ে তিনটার সময় দৈনিক কক্সবাজার একাত্তর পত্রিকার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও মূল্যবান আসবাবপত্র নষ্ট করার ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’

প্রবীণ সাংবাদিক নুরুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিক ও সম্পাদকে ওপর হামলার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকের ওপর এ হামলা সংবিধান, বাক স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের ওপর এক বেদনাদায়ক আঘাত। একটি গণতান্ত্রিক দেশে জনগণ এ দৃশ্য দেখতে চায় না।তিনি আরো বলেন অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার দাবি করছি।

সেই সঙ্গে পত্রিকা, সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নজর দেওয়া জরুরী মনে করছে তাঁরা। কেননা এর আগেও পত্রিকা অফিসে কক্সবাজারে বহু হামলা করার নজির রয়েছে।

অন্যদিকে দৈনিক কক্সবাজার একাত্তর পত্রিকা অফিসে ভাংচুর হামলায় ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন কক্সবাজার ৩ আসনের সংসদ সদস্য সায়মুম সরোয়ার কমল ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন এবং সুশীল সমাজের নেতা কর্মীগণ।

আরও খবর