ডেস্ক রিপোর্ট ◑ একটি তথ্যচিত্র নির্মাণের জন্য তিনজনকে নিয়ে মেজর (অব.) সিনহা মো রাশেদ খান গিয়েছিলেন কক্সবাজার। সিনহা পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। সিফাত ও শিপ্রা এখন কারাগারে।
স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের শিক্ষার্থী সাহেদুল ইসলাম সিফাত, শিপ্রা রানী দেবনাথ ও তাহসিন রিফাত নূর প্রোডাকশনের কাজ করছিলেন বেশ অনেক দিন ধরেই। বছরখানেক আগে তাঁদের পরিচয় হয় অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদের সঙ্গে।
শিক্ষক ও অভিভাবকেরা বলছেন, তাঁদের ছেলেমেয়েদের এমন একটা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হবে, তা তাঁরা এখনো বিশ্বাস করতে পারছেন না।
গত ৩১ জুলাই রাতে মেজর (অব.) সিনহা ও সাহেদুল রাতে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে যাচ্ছিলেন। বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের ভাষায় ‘আত্মরক্ষার্থে’ ছোড়া গুলিতে নিহত হন সিনহা মো. রাশেদ খান। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাহেদুলকে। তিনি ও শিপ্রা দেবনাথ দুটি আলাদা মামলায় এখন কারাগারে।
অন্যদিকে তাহসিন রিফাত নূরকে তাঁর অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। তবে শিপ্রা দেবনাথ রামু থানার একটি মাদকের মামলার আসামি করা হয়েছে। গত ১ আগস্ট পুলিশ শিপ্রাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। এখনো তা মঞ্জুর হয়নি। রিসোর্টে তাঁর কক্ষ থেকে মদের বোতল পাওয়া গেছে এমন অভিযোগ আনা হয়।
জানা গেছে, মেরিন ড্রাইভে সিনহা ও সাহেদুল যখন পুলিশের মুখোমুখি, তখন শিপ্রা ও তাহসিন ইফাদ ছিলেন রিসোর্টে। তথ্যচিত্র নির্মাণের কাজে তাঁরা চারজন মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে উঠেছিলেন। এমনকি দিন সাতেক আগে শিপ্রা ফেসবুকে একটি পোস্টও দিয়েছিলেন, এডিটর চেয়ে। সাহেদুলের ফেসবুক পেজে রয়েছে কক্সবাজারের বেশ কিছু ছবি। ফটোগ্রাফার হিসেবে তাঁর কদর ছিল।
জানা যায়, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের সিফাত ও শিপ্রা তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী, তাহসিন শেষ বর্ষের। কারিকুলামের অংশ হিসেবে ওদেরকে প্র্যাকটিক্যাল কাজ জমা দিতে হয়। ওরা যখনই সময় সুযোগ পায় নিজেদের মতো করে বিভিন্ন প্রোডাকশনে কাজ করে। অভিনয় জগতের অনেক তারকা, পরিচালকের সঙ্গেও কাজ করেছেন। সূত্র: দ্য রিপোর্ট
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-