লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ঘটে যাওয়া জোড়া বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ৭৮ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত আরো ৪ হাজার মানুষ। মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী হামাদ হাসান আন্তর্জাতিক গণ মাধ্যমগুলোকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আশংকা করা হচ্ছে বিস্ফোরণে হতাহতের সংখ্যা দীর্ঘ হতে পারে। আরো অনেক মানুষ নিখোঁজ আছেন। উদ্ধার কাজ চলছে’।
এর আগে মঙ্গলবার মূল লেবানন থেকে দেড়শ কিলোমিটার দূরে ভয়াবহ এই বিস্ফোরণ দুটি ঘটে। গণ মাধ্যম ও স্থানীয়দের ধারণ করা ভিডিও চিত্রে দেখা যায় বৈরুতের আকাশে কালো ধোঁয়া। স্থানীয়রা জানান এমন বিস্ফোরণ এর আগে তারা কখনো দেখেননি।
ভিডিওগুলোতে দেখা যাচ্ছে, দেশটির রাজধানী শহর সেন্ট্রাল বৈরুতের আকাশে ধোঁয়ার লাল কুণ্ডলী উড়ছে। বিস্ফোরণের শব্দে বাসিন্দাদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। ভবনগুলোর দরজা ও জানালার গ্লাস ভেঙে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এখন পর্যন্ত কিভাবে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। লেবাননের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়েছে, বন্দরে একটি আতশবাজির গুদামে বিস্ফোরণে ঘটনার সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে।
তবে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে সংরক্ষণ করে রাখা দাহ্য পদার্থের কারণে অগ্নিসংযোগ ঘটেছে, যেখান থেকেই এই বিস্ফোরণ হতে পারে’।
এদিকে লেবাননের প্রেসিডেন্ট মাইকেল আউন সেনাবাহিনীকে বৈরুতের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় টহল দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বিস্ফোরণের ঘটনায় লেবাননের বুধবার (৫ জুলাই) জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেছেন দেশটির সরকার প্রধান।
বিস্ফোরণের পর পরই হতাহতদের চিকিৎসার জন্য জরুরিভিত্তিতে রক্ত সংগ্রহে নেমেছে দেশটির রেড ক্রস। এক টুইট বার্তায় সংস্থাটি বলে, ‘বৈরুত বন্দরে বিস্ফোরণে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য সকল ধরনের রক্তদানের জন্য ‘জরুরি আহ্বান’ জানানো হচ্ছে’। লেবানিজ রেড ক্রস কর্মকর্তা জর্জেজ কাট্টানেহকে উদ্ধৃত করে মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, ‘আহত ও নিহত মিলিয়ে হতাহত কয়েকশ। এর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে’।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-