কখনও কখনও কোনো শ্রমিক যথাপ্রাপ্য পারিশ্রমের চেয়েও কম পারিশ্রমিকে কাজ করতে বাধ্য হয়ে সম্মতি প্রদান করলেও মালিকের অপরিহার্য কর্তব্য তার যথার্থ পারিশ্রমিক প্রদান করা। আল্লাহ্তাআলা বলেন, “প্রত্যেকের জন্য তাদের কাজ অনুসারে মর্যাদার স্তর; তাদের কাজের প্রতিফল তাদের দিয়ে দেয়া হবে এবং তাদের প্রতি অবিচার করা হবে না” (সূরা আহ্কাফ, : ১৯)।
অপর আয়াতে আল্লাহ্তাআলা বলেন, “আমি তোমাদের কোনো কর্মীর কর্ম নষ্ট হতে দিব না। সে পুরুষ হোক অথবা নারী” (সূরা আলে-‘ইমরান : ৩ : ১১৯৫)। আল্লাহ্র নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) শ্রমিকের ন্যায্য পাওনা যথাযথভাবে পরিশোধ করার প্রতি তাকীদ প্রদান করেছেন। রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেন, “মজুর শ্রমিক ও ভৃত্যদের যথারীতি খাদ্য ও পোশাক দিয়ে দাও” (আল-আদাবুল মুফরাদাত, পৃ. ৫৮; সহীহ মুসলিম, ৩য় খন্ড, পৃ. ১২৮৪)। হাদীসে কুদসীতে বর্ণিত আছে, আল্লাহ্তাআলা বলেন, “তিন শ্রেণীর লোক এমন যে, কিয়ামতের দিন আমি তাদের প্রতিপক্ষ হবো, যে ব্যক্তি আমার নামে কথা দিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করলো, যে ব্যক্তি কোনো স্বাধীন ব্যক্তিকে বিক্রি করে তার মূল্য ভক্ষণ করলো এবং যে ব্যক্তি কোনো শ্রমিককে শ্রমিক নিয়োগ করে তার নিকট থেকে পূর্ণ কাজ বুঝে নিল; কিন্তু তাকে তার সঠিক পারিশ্রমিক প্রদান করলো না” (সহীহুল বুখারী, ১ম খন্ড, পৃ. ৪৮১-৪৮২; সুন্নাু ইব্ন মাজাহ্, ৩য় খন্ড, পৃ. ১৭১)।
শ্রমিকের পাওনা যথা সময়ে ত্বরিত গতিতে প্রদান করা আকশ্যক। রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন, “শ্রমিকের ঘাম শুকানোর পূর্বেই তাকে তার পারিশ্রমিক দিয়ে দাও” (সুনানু ইব্ন মাজাহ্, ৩য় খন্ড, পৃ. ১৭২)। শ্রমিককে তার নায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করা অপরাধ ও অন্যায়। একই সাথে তাদের ওপর অতিরিক্ত বোঝা চাপানো কিংবা কষ্ট দেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য ইসলাম মালিক পক্ষকে সাবধান করেছে। এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেন, “শ্রমিকরা তোমাদেরই ভাই। অতএব তাদের সাথে সদয় ব্যবহার কর। তোমাদের একার পক্ষে যে কাজ করা অসম্ভব, তাতে তাদের সাহায্য নাও। আবার তাদের একার পক্ষে যে কাজ করা অসম্ভব, তাতে তোমরাও তাদেরকে সাহায্য দাও” (আল-আদাবুল মুফরাদাত, পৃ. ১৯০; আল-মুসনাদ, হাদীস নং ১৯৬৭২)।
তাই বলবো, দেশের এই অবস্থায় একদিকে করোনা অন্যদিকে বাঁচার চেষ্টায় লক ডাউন। দীর্ঘ সময় কর্মহীন দরিদ্র মানুষ গুলো হিমশিম খাচ্ছে সংসার খরচ যোগাতে।
সামনে ঈদুল আযহা লক ডাউন এরই মধ্যে তুলে নেওয়া হয়ে কিন্তু সব কিছু এখনো সীমিত।
তবু খেটে খাওয়া মানুষ গুলো জীবনের মায়া ত্যাগ করে বের হয়েছেন সংসার খরচ তথা ঈদ খরচ যোগাতে।অনেকের এই অল্প সময়ের ইনকামেই নির্ভর করে চলবে সংসার কাটবে ঈদ।
ঈদ মানে খুশি আনন্দের দিন, সুখ ও দুঃখ ভাগাভাগির,পরকে আপন করে নেওয়ার দিন তাই এই মহান দিনকে সামনে রেখে সমস্থ কোম্পানি ও মালিকদের প্রতি বিল্ডিং কনসালটেন্সির পক্ষ থেকে আমার অনুরোধ থাকবে আসুন আমরা শ্রমজীবী মানুষ গুলো শ্রমের মূল্য যাথা সময়ে পরিশোধের মাধ্যমে তাদের ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে দিন।ছড়িয়ে দিব সবার ঘরে ঈদের খুশি।
সবাই জানাচ্ছি ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা।
ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম
সিইও
বিল্ডিং কলসাল্টটেন্সি
কোটবাজার, উখিয়া, কক্সবাজার
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-