সমিতিপাড়ায় ফের ইয়াবা রফিক তার স্ত্রীর মাদক ব্যবসা চাঙ্গা

নিজস্ব প্রতিবেদক ◑
কক্সবাজার শহরের ১নং ওয়ার্ড সমিতিপাড়াসহ কুতুবদিয়া পাড়া ফদনার ডেইলে স্বামী-স্ত্রীর মাদক ব্যবসা আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। স্বামী রফিক প্রকাশ ইয়াবা রফিক ও তার স্ত্রী ইয়াবা সুন্দরী সাজু রাজনৈতিক ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে ইয়াবাসহ নানা অপরাধে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
সমিতিপাড়ার প্রতিটি অপকর্মেই তাদের হাত রয়েছে। তাদের কারণে এলাকার সমাজ ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা য়ায়, তারা এলাকায় ইয়াবা ব্যবসায়, সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায়, চাঁদাবাজি, লুটপাট, হামলা, বানোয়াট মামলা, ইয়াবা পাচার, মানব পাচার, যৌনকর্মী নিয়ে পতিতা ব্যবসা, বিভিন্ন হোটেল-মোটেল যৌনকর্মী সরবরাহসহ নানা অপকর্মে জড়িত রয়েছে। বিশেষ করে সমাজের খারাপ ও কতিপয় যুবক-যুবতী ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ব্যবহার করে মুলত এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
তাদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানাসহ জেলার বিভিন্ন থানায় ইয়াবা, নারি ও শিশু নির্যাতন, মারামারিসহ একাধিক অধিক মামলা রয়েছে।

তাদের নেতৃত্ব এলাকায় চলে নিয়মিত নির্যাতন ও অত্যাচারের মহড়া। তাদের কারণে পুরো এলাকাবাসী এখন ভীত সন্ত্রস্ত্র। এলাকায় তাদের ক্ষমতার প্রভাব এতই বেশি- সাধারণ লোকজন কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি।

প্রাপ্ত তথ্য জানা য়ায়, ২০১৮ সালে আগস্ট মাসে ২০০ পিস ইয়াবাসহ মো. রফিক (৩৭) পুলিশের জালে ধরা পড়েছিল। জেল কেটে জামিনে বের হয়ে আবারো মরণ নেশা ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত হয়ে পড়েছে। তার পিতার নাম মৃত হাফেজ উল্লাহ। থানা মামলা নং-০৬/২০১৮ ইং। রফিক ও তার স্ত্রীর নেতৃত্বে এলাকায় একটি বড় ইয়াবা সিন্ডিকেট রয়েছে। ওই সিন্ডিকেটটি এলাকায় মাদকসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে।

এছাড়াও তারা কমপক্ষে ৭/৮ টি ফৌজদারী মামলার আসামী।

তন্মধ্যে রয়েছে, ইয়াবা পাচার, নারি ও শিশু নির্যাতন, যৌনকর্মী সরবরাহ, মারামারি ও ভাঙচুরসহ নানা অপরাধে।

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, রফিক ও তার স্ত্রী সাজেদা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তাদের কারণে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে। সাজু বেগম মো. রফিক প্রকাশ ইয়াবা রফিককে বিয়ে করার আগে আরেক জনকে বিয়ে করেছিল। ওই স্বামীর দুইটি পুত্র সন্তানও ছিল। কিন্তু মরণ নেশা মাদক ব্যবসার লোভে পড়ে সাজেদা রফিককে বিয়ে করে। তাকে বিয়ে করার পর সেই কোটিপতি বনে গেছে। আগে তার কিছুই ছিল না। এখন কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন স্থানে জায়গা ক্রয় করছে। এমনকি পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কুতুবদিয়া পাড়া ফদনার ডেইলেও তিনটি বাসা ভাড়া দিয়েছে রোহিঙ্গাদের তারা। ওই রোহিঙ্গা ভাড়াটিয়া হলেন, রহিমা বেগম স্বামী হোসেন আহমদ, কাজল বেগম স্বামী আকতার হোসেন ও রোকিয়া বেগম স্বামী রবি আলম। মুলত তারাই রোহিঙ্গা রফিক ও তার স্ত্রীর ইয়াবা সুন্দরী সাজু তাদের মাধ্যমে ইয়াবা পাচার করে।
পৌর আওয়ামী লীগের ১নং ওয়ার্ডের সভাপতি আতিক উল্লাহ কোম্পানি বলেন, ইয়াবা বিরুদ্ধে সমসময় আমি সোচ্চার। রফিক একসময় ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল। এখন ব্যবসায় জড়িত আছে কিনা তা জানি না।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (অপারেশন) মো. মাসুম খান বলেন, ইয়াবা ব্যবসায়ী যতো বড়ই প্রভাবশালী হোক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। যদিও রফিক ও তার স্ত্রী ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত থাকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে

আরও খবর