মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ঘরের বাইরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সব ধরনের কর্মস্থলে, বাজার-বিপণি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উপাসনালয়, গণপরিবহন, সামাজিক অনুষ্ঠান এবং রাস্তায় পথচারীদেরও এখন থেকে এ নিয়ম মেনে চলতে হবে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ডা. মো. শিব্বির আহমেদ ওসমানী স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে এই আদেশ জারি হয়েছে। পরিপত্রে ১১ দফা নির্দেশনা দেয়া রয়েছে। এই নির্দেশনা দেশের সকল নাগরিকের জন্য প্রযোজ্য হবে।
১. সরকারি, আধা সরকারি স্বায়ত্বশাসিত এবং বেসরকারি অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারি ও সংশ্লিষ্ট অফিসে আসা সেবা গ্রহীতারা বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার করবেন। সংশ্লিষ্ট অফিস কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
২. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, গির্জাসহ সকল ধর্মীয় উপসনালয়ে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
৩. শপিংমল, বিপনি বিতান ও দোকানের ক্রেতা-বিক্রেতাদের আবশ্যিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
৪. হাট-বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মাস্ক না পরে কোনো পণ্য কেনাবেচা করা যাবে না।
৫. সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালসহ সকল স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে আগত সেবা গ্রহীতাদের অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
৬. গণপরিবহনের (সড়ক, নৌ, রেল ও আকাশ) চালক, চালকের সহকারী এবং যাত্রীদের মাস্ক পরে যাতায়াত করতে হবে। গণপরিবহনে ওঠার আগেই মাস্ক পরতে হবে।
৭. গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ সকল শিল্প কারখানায় কর্মরত কর্মীদের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
৮. হকার, রিকশা, ভ্যানচালকসহ সকল পথচারীর মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আর এটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিশ্চিত করবে।
৯. হোটেল রেস্টুরেন্টে কর্মরত ব্যক্তি এবং জনসমাবেশ চলাকালীন অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।
১০. সকল প্রকার সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া অতিথিদের মাস্ক পরতে হবে।
১১. বাড়িতে করোনা উপসর্গের রোগী থাকলে ঘরের অন্যান্য সদস্যদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
উল্লেখ্য, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৫৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত হলেন ২ লাখ ১০ হাজার ৫১০ জন। নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ৪১ জনের। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭০৯ জন।
মঙ্গলবার দুপুরে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আরো ১ হাজার ৮৪১ জন। ফলে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৯৭ জনে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-