গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল ◑
পর্যটন খ্যাত সীমান্ত নগরী টেকনাফ উপজেলাকে ইয়াবার করালগ্রাস থেকে মুক্ত করার জন্য অত্র এলাকায় দায়িত্বরত বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন কৌশল হাতে নিয়েছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, “চলো যাই যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে” এই শ্লোগানকে বুকে ধারন করে সারা দেশের ন্যায় বিগত দুই বছর ধরে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা মিয়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা টেকনাফের ভিবিন্ন এলাকায় কঠোর অভিযান পরিচালনা শুরু করে।
উক্ত অভিযানে লক্ষ লক্ষ ইয়াবা উদ্ধারসহ মাদক কারবারে জড়িত প্রায় দুই শতাধিক অপরাধী চলমান বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।
আবার নিজের প্রান বাঁচাতে প্রায় দেড় শতাধিক মাদক কারবারী হাজার হাজার জনতার উপস্থিতিতে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করতে বাধ্য হয়। মাদক পাচারও অনেকটা কমে আসে। এদিকে সরকারের ঘোষনা অনুযায়ী সীমান্ত এলাকা টেকনাফ থেকে মাদক পাচার জিরো ট্রলারেন্সে নিয়ে আসার জন্য কক্সবাজারে দায়িত্বরত বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা মাদকের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানকে আরো কঠোর করার প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে।
সেই সূত্র ধরে টেকনাফ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে বিট পুলিশিং কমিটি স্থাপন করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
তথ্য সূত্রে জানাযায়, প্রতিটি ইউনিয়নে মাদক পাচার প্রতিরোধ এবং ভদ্রতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা মাদক কারবারীদের আইনের আওয়তাই নিয়ে আসার জন্য পাড়া ভিত্তিক সাঁড়াশী অভিযান পরিচালনা করার নতুন প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে পুলিশ।
বিট পুলিশিং কমিটির সদস্যদের সাথে নিয়ে পুলিশের চলমান কঠোর অভিযানকে আরো বেগবান করা বলে জানায় পুলিশ।
উক্ত অভিযানে ১জন এসআই, ১জন এএসআই, ৫জন পুলিশ সদস্য সর্বদা দায়িত্ব পালন করবে।
২১জুলাই(মঙ্গলবার) দুপুর সাড়ে ১২টা দিকে সাবরাং ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ডে বিট পুলিশিং সদস্যদের আয়োজনে মাদক পাচার প্রতিরোধ ও কারবারীদের ধরতে এবং অভিযানের নতুন কৌশল বাস্তবায়ন করতে শুভ সুচনার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।
এসময় উপস্থিত জনতার সামনে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন টেকনাফ মডেল থানার (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ।
তিনি সাবরাং’এ পথ সভায় হুশিয়ারী উচ্চারন করে বলেন, বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ভদ্রতার আড়ালে থেকে এখনো যারা মাদক পাচারের ঘৃর্ন্য অপচেষ্ট চালিয়ে যাচ্ছেন সময় থাকতে আলোর পথে ফিরে না আসলে পুলিশের মাদক বিরোধী চলমান অভিযান থেকে কেউ রেহাই পাবেন না।
তিনি স্থানীয় জনতার উদ্দেশ্যে আরো বলেন, এখনো যারা ইয়াবা কারবারে জড়িত সেই সমস্ত অপরাধীদের সঠিক অবস্থান কোথায় সেই তথ্য পুলিশকে অবিহিত করে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিন। অপরাধী সেই যেই হোক, কাউকে রেহাই দিবনা পুলিশ।
আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে টেকনাফকে ইয়াবা মুক্ত করার ঘোষনা দেন ওসি প্রদীপ।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-