নিজস্ব প্রতিবেদক ◑
সারা বিশ^ব্যাপী মরণঘাতী ভাইরাস আতংকে বিশ^ নেতা ও স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্টান সংশ্লিষ্টরা যেখানে জবু থবু সেখানে কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতা বিক্রেতাদের গাদাগাদি ও মার্কস বিহীন অবস্থা পরিবেশকে বিপন্ন করে তোলেছে বলে মনে করছেন স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্টানের কর্তাব্যক্তিরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কোরবানির পশু ক্রয় বিক্রয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় আইনশৃংখলা বাহিনীকে কোরবানির হাটে দায়িত্ব পালন করার জন্য ইতিপূর্বে আইনশৃংখলা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে।
অথচ স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী পরিবেশবাদীরা বলছেন, ঈদুল আযহা উপলক্ষে উখিয়ার বিভিন্ন স্থানে মৌসুমী পশুর হাট গুলোতে করোনা প্রতিরোধ বিষয়ক স্বাস্থ্যবিধির কোন তোয়াক্কাই করা হচ্ছে না। এতে এলাকায় করোনার বিস্তৃতি ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা পালংখালী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয় ভাবে গৃহ পালিত গরুতে সয়লাব। মাজারি সাইজের গরু বিক্রি হচ্ছে ৭৫/৮০ হাজার টাকা দরে। তবে ক্রেতাদের চাহিদা ছোট গরুর দিকে। নজির আহম্মদ নামের একজন ক্রেতা জানালেন, মিয়ানমার থেকে বিপুল পরিমান গরু এসেছে চোরাই পথে। ছোট সাইজের এসব গরু ৩০/৩৫ হাজার টাকা দিলে পাওয়া যায়। স্থানীয় আরেকজন ক্রেতা শামশু মিয়া বলেন, ছোট সাইজের একটি গরু একজনের কোরবানির জন্য যতেষ্ট। এখানে ভাগাভাগির কোন দরকার নেই বিধায় এসব গরু বিক্রি হচ্ছে বেশি।
স্থানীয় ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার খুরশিদা মেম্বার জানালেন, এবারের কোরবানির বাজারে ক্রেতা বিক্রেতাদের তেমন কোন উৎসাহ দেখা যায়নি। প্রায় মানুষের চোখেমুখে করোনা আতংক। একাধিক ক্রেতা জানালেন, দীর্ঘ সময় করোনা আতংকে বেকার দিন যাপনের কারনে হাতে টাকা পয়সা নেই। তাই এবার নি¤œ আয়ের অনেকেই কোরবানি ঈদে পারবেনা।
কোরবানির বাজারে রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি লক্ষনিয় উল্লেখ করে কুতুপালং রেজিষ্ট্রাট ক্যাম্পের চেয়ারম্যান হাফেজ জালাল জানালেন, রোহিঙ্গাদের গরু,মহিষ,ছাগল মিয়ানমারে রয়েগেছে। যারা প্রান ভয়ে তড়িগড়ি করে এদেশে পালিয়ে এসেছে তারা তাদের গৃহ পালিত গবাদি পশু সাথে করে আনতে পারেনি। এবার ঈদুল আযহা উদযাপনের জন্র্র্র্র্য অধিকাংশ রোহিঙ্গা তাদের গরু ছাগল নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। তাই রোহিঙ্গাদের মধ্যে এবার কোরবানির মাংসের সংকট হবেনা। পশু সম্পদ কর্মকর্তা সাহাব উদ্দিন জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কোরবানির পশুর হাটে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
তবে ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে মাক্স ব্যবহারের প্রবনতাটা কম দেখা গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, অন্যান্য উপজেলার চাইতে উখিয়া উপজেলায় প্রায় ১০ লক্ষ রোহিঙ্গার বসবাস শর্তেও প্রশাসনের দায়িত্ব যতাযত পালনের কারনে ইনশাহ আল্লাহ করোনা ভাইরাস তেমন কোন প্রভাব ফেলতে পারেনি। ঈদুল আযহায় ও আল্লাহর রহমতে উখিয়ার মানুষ সুখে শান্তিতে ঈদুল আযহা পালনে সক্ষম হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-