বার্তা পরিবেশক ◑
কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও বালুখালী ১নং ওয়ার্ড থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত মেম্বার নুরুল আবছার চৌধুরী নিজ এলাকার একটি বিশেষ চক্রের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন এমনটাই দাবী করছেন পরিবারের সদস্যরা।
তাকে গত ১২ জুলাই গভীর রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে একদিন পর (১৩ জুলাই) জেলা কৃষকলীগের স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আলম চৌধুরী সহ ১০ হাজার পিস ইয়াবা দিয়ে উখিয়া থানায় সোপর্দ করেছে।নুরুল আবছার চৌধুরীর স্ত্রী লায়লা বেগমের দাবী তাঁর বাড়িতে আসা মেহমান জাফর আলম সহ তাঁর স্বামী নুরুল আবছার চৌধুরী ও কৃষকলীগ নেতা নুরুল আলম চৌধুরীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা গভীর রাতে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়।
খালী হাতে নিয়ে যাওয়া স্বামী নুরুল আবছার চৌধুরী, কৃষকলীগ নেতা নুরুল আলম চৌধুরীকে একদিন পর ১০ হাজার পিস ইয়াবা সহ উখিয়া থানায় সোপর্দ করে।লায়লা বেগম দাবী করেন তাঁর স্বামী নুরুল আবছার চৌধুরী মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে পরাজিত একটি চক্র নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
স্বামীর জনপ্রিয়তায় প্রতিহিংসা পরায়ন চক্রটি একের পর এক ষড়যন্ত্র করে তাঁর স্বামী নুরুল আবছার চৌধুরীকে ক্ষতি সাধন করার পাঁয়তারা চালিয়ে আসছিল। তাকে হামলা -মামলা করে ক্ষতি করিবে মর্মে হাকাবকা করে আসছিল।
যার ধারাবাহিকতায় তাঁর স্বামীকে ফাঁসাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ভুল তথ্য দিয়ে আটক করিয়েছে মর্মে প্রবল সন্দেহ করছেন।তিনি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে স্বামী নুরুল আবছার চৌধুরীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেছেন।
নুরুল আবছার চৌধুরী শুধু প্যানেল চেয়ারম্যান, কিংবা মেম্বার নন। তিনি এলাকার উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে আমজনতার হ্নদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।এলাকায় সন্ত্রাস,চাঁদাবাজি বন্ধ করে মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন।তাই মাদক কারবারি চক্র নুরুল আবছার চৌধুরীর প্রতি ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে।নুরুল আবছার চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধার সন্তান।তাঁর বাবা ছিলেন ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সম্নুখ ভাগের যুদ্ধা ছিলেন। উখিয়া উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডার,জনপ্রতিনিধি হিসেবে পালংখালী ইউপির মেম্বার এবং ভাইস চেয়ারম্যান।
নুরুল আবছার চৌধুরীর কর্মকান্ডে সন্তোষ প্রকাশ করে এলাকাবাসী বালুখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করেন। একাধিক মেয়াদে সভাপতির দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তিনি।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন উখিয়া উপজেলা কমিটির সভাপতি,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ উখিয়া উপজেলা কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, ঘুমধুম-বালুখালী সীমান্ত শ্রমিক কল্যাণ পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধা মরহুম নজির আহমদ চৌধুরী স্নৃতি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, উখিয়া উপজেলা সিএনজি, মাহিন্দ্রা, টমটম অটোরিকশা শ্রমিক-মালিক কল্যাণ সমবায় সমিতির উপদেষ্টা, উখিয়ার ঘাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা, উখিয়ার ঘাট কাস্টমস ইয়াং স্টার সোসাইটি ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা, বালুখালী পানবাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমবায় সমিতির উপদেষ্টা, বালুখালী পানবাজার সিএনজি, অটোরিকশা, মাহিন্দ্রা,টমটম শ্রমিক কল্যাণ সমবায় সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও জনকল্যাণমুখী বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িত থেকে সৎ ও নিষ্ঠার সহিত দায়িত্ব পালন করছেন।নিজের হালাল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আলিফ ট্রেডিং এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রমি এগ্রো ফুডসের কক্সবাজারস্থ ডিপো হোল্ডার ছাড়াও হোটেল ব্যবসা,ঘর ভাড়ার ব্যবসা ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কেন্দ্রিক স্থাপনা নির্মাণের ঠিকাদারী এবং জায়গা-জমিনের ব্যবসা রয়েছে।এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত করতে স্থানীয় ব্যাংক ঋন,বন্ধু সার্কেল থেকে লাখ-টাকা হাত কর্জ নিয়েছেন।বর্তমানে কোটি টাকার উর্ধ্বে হাত কর্জ রয়েছে।নুরুল আবছার চৌধুরীর এসব ব্যবসা পরিচালনায় অন্তত শতাধিক স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।স্থানীয় শত-শত নারী-পুরুষ কে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত বিভিন্ন এনজিও সংস্থায় চাকরীর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।বিভিন্ন এনজিও সংস্থার মাধ্যমে ১ং ওয়ার্ড বাসীদের কল্যাণে আর্থসামাজিক উন্নয়ন ছাড়াও ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ব্যাপক সহায়তা করেছেন।
নুরুল আবছার চৌধুরী একটি মামলায় কারান্তরীন হওয়ায় শুন্যতায় ভোগছে ১ নং ওয়ার্ড বাসী।অবিলম্ভে নুরুল আবছার চৌধুরীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেছেন বিভিন্ন পেশার মানুষও।
বালুখালীর কৃষক-জেলে ছৈয়দ আলম, তাদের ওয়ার্ডের মেম্বার নুরুল আবছার চৌধুরীর আশু জামিনে মুক্তি দাবী করেছেন।উখিয়ার ঘাট কাস্টমস বাসীর পক্ষে কৃষক মনছুর আলী,আবদুস ছাত্তার, ছাত্রনেতা ও ১নং ওয়ার্ড কৃষকলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন মেম্বার নুরুল আবছার চৌধুরীর নিকট থেকে ইতিপূর্বে যে সহযোগিতা পেয়েছেন,তাঁর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মুক্তি চেয়েছেন।
উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আলমগীর আলম নিসা উখিয়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার চৌধুরী ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন বলে প্রবল সন্দেহ করেন,তিনি অবিলম্বে নুরুল আবছার চৌধুরীকে জামিনে মুক্তি দিয়ে বালুখালী বাসীর কল্যাণে ফিরিয়ে আসতে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের উখিয়া উপজেলা সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ছাত্রনেতা আনিসুল ইসলাম অনতিবিলম্বে উখিয়া উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি ছাত্র-যুব সমাজ ও আমজনতার প্রিয়ভাজন, প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুল আবছার চৌধুরীর দ্রুত মুক্তি চেয়েছেন।
পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এম.এ মঞ্জুর বলেন নুরুল আবছার চৌধুরীর বিষয়টি ষড়যন্ত্র বলে মনে করছি।যেহেতো বালুখালীতে বিবাদ দুটি গ্রুপ রয়েছে,যারা একে অপরকে ঘাঁয়েল করতে মরিয়া ছিল।আবছার মেম্বার তেমনি ঘাঁয়েলের শিকার বলে সন্দেহ করছি।
নুরুল আকছার চৌধুরীর স্ত্রী লায়লা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, স্বামীর এমন ষড়যন্ত্রমুলক পরিনতিতে ৩ সন্তান নিয়ে চরম শুন্যতায় দিনাতিপাত করছি।তিনি প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে স্বামীর মুক্তি চান।
স্থানীয় আমজনতার দাবী নুরুল আবছার চৌধুরীকে মুক্তি দিয়ে জনগণের কাছে এসে জনকল্যাণমুলক কাজে অংশ গ্রহণের সুযোগ দানের আহবান করা হয়।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-