‘পেটে ভাত নেই, আবাসিক হোটেলসহ পর্যটন স্পটসমূহ খুলে দিন’

ইমাম খাইর, কক্সবাজার
বাংলাদেশের কেয়াকাটাসহ অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্র খুলে দিলেও কক্সবাজারের পর্যটন স্পষ্টসমূহ বন্ধ রাখা হয়েছে।

অথচ, গণপরিবহন, ব্যাংক-বীমা এমনকি গরু বাজারও চলছে। হাটবাজারেও ঠিক পুরনো দৃশ্য। জনজীবন অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে গেছে। করোনায় সংক্রমনের হারও দিনদিন নিম্নমুখী।

করোনার কারণে টানা প্রায় চার মাস কর্মক্ষেত্র বন্ধ থাকায় হোটেল ম্যানেজারসহ লক্ষাধিক মানুষ নিদারুণ কষ্টে রয়েছেন। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আবাসিক হোটেলের মূল্যবান আসবাবপত্র।

এসব বিবেচনায় কক্সবাজার শহরের আবাসিক হোটেল-মোটেল খুলে দেওয়ার দাবিতে রবিবার (১৯ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিচ্ছে কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ অফিসার্স এসোসিয়েশন।

বুধবার (১৫ জুলাই) বিকালে সংগঠনের জরুরী সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সংগঠনটির সভাপতি সুবীর চৌধুরী বদলের সভাপতিত্বে সভায় বক্তারা বলেন, দীর্ঘ চারমাস ধরে কক্সবাজার পর্যটন সেক্টর বন্ধ। আমাদের অনেকের পেটে ভাত নাই। নিত্য প্রয়োজনীয় খরচ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

তারা বলেন, জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুসারে গত ২০ মার্চ থেকে পর্যটন স্পট বন্ধ রাখা হয়। তখন থেকে কর্মহীন-বেকার চার শতাধিক আবাসিক হোটেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারী।

দেশের করোনা বৃদ্ধির জন্য কোনভাবেই পর্যটনখাত দায়ী নয়, দাবী সংশ্লিষ্টদের।

হোটেল ব্যবসায়ীদের দাবী, যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়াই কক্সবাজার পর্যটন শিল্প বন্ধ রাখা হয়েছে। তাতে জনগণ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত সরকারও রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে।

যতদ্রুত সম্ভব কক্সবাজার পর্যটন শিল্প খুলে দেওয়ার দাবী কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ অফিসার্স এসোসিয়েশনের।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক যুবনেতা করিম উল্লাহ কলিমের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত সভায় পর্যটন সেক্টর খুলে দেওয়া, কর্মচারীদের বেতন ও চাকুরির নিশ্চয়তার দাবিতে আগামী রবিবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরের স্মারকলিপি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের উপদেষ্টা এডভোকেট মাহবুবুল আলম টিপু, আওলাদ হোসেন কেনেডি, সুজিত গুহ শিমুল, মোঃ হানিফ হেলালি, রেদোয়ান সাইদি বিপু, আনোয়ার সিকদার, খাইরুল আমিন, আবদু রহমান, শহীদুল্লাহ, ওসমান গণি, মাহবুবুর রহমান শহীন, মারুফ হোসেন, বাবুল চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর