বিদায় নিচ্ছেন নাছির, যে কারণে প্রশাসকের হাতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভার

অনলাইন ডেস্ক ◑  করোনাভাইরাস মহামারীতে স্থগিত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ আপাতত হচ্ছে না। এমন সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে নির্বাচন কমিশন থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে কমিশনের এ সিদ্ধান্ত স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবকে জানানো হয়।

সব কিছু পর্যালোচনা করে সরকার চসিকে প্রশাসক নিয়োগের বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে বলে জানা গেছে। সে হিসেবে ৫ আগস্ট বিদায় নিচ্ছেন মেয়র নাছির। তফসিল যেহেতু বাতিল হয়নি সেক্ষেত্রে বহাল থাকছেন আগের প্রার্থীরাই।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবকে দেওয়া ইসির সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, যে করোনাভাইরাসের প্রকোপে নির্বাচন স্থগিত করা হয় তা এখনো অব্যাহত আছে। সাথে চলতি মৌসুমে অতিবৃষ্টি ও পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। তাই ৫ আগস্টের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সম্ভব হবে না।

চসিক নিয়ে সরকারের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ইতোপূর্বে বলেছিলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়াদ শেষ হলে আমরা করনীয় ঠিক করবো। যদি ভোট গ্রহণ সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের মতামত নিয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব কিছু পর্যালোচনা করে প্রশাসক নিয়োগের বিষয়ে পদক্ষেপ নেবো আমরা।

২০১৫ সালের ৬ আগস্ট আ জ ম নাছির উদ্দীন চট্টগ্রাম সিটির মেয়রের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী পর্ষদের মেয়াদ ৫ বছর। বর্তমান পর্ষদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৫ আগস্ট।

নিয়ম অনুযায়ী মেয়াদপূর্তির ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সে হিসেবে ২৯ মার্চ ভোটের তারিখ নির্ধারণ করে নির্বাচর্ন কমিশন তফসিলও ঘোষণা করেছিল। করোনা সংক্রমণের শঙ্কা থেকে চট্টগ্রাম প্রতিদিন একাধিক প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছিল। এসব দিক বিবেচনায় ভোটের এক সপ্তাহ আগে ২১ মার্চ তা স্থগিত করে ইসি।

স্থানীয় সরকার আইনে আরো বলা আছে, কোনো সিটি কর্পোরেশনের পর্ষদ মেয়াদোত্তীর্ণ হলে সরকার নতুন পর্ষদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত একজন উপযুক্ত ব্যক্তি বা কোনো কর্মকর্তাকে প্রশাসক নিয়োগ দিবে। প্রশাসকের কাজে সহায়তার জন্য সরকার প্রয়োজন মনে করলে একটি কমিটিও করে দিতে পারবে। প্রশাসক এবং সেই কমিটির সদস্যরা মেয়র ও কাউন্সিলরের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন। তবে তাদের মেয়াদও হবে ১৮০ দিন।

আরও খবর