আজ ২১ জুন (রবিবার), বছরের দীর্ঘতম দিন, যা কর্কটক্রান্তি দিবস নামে পরিচিত। এই দীর্ঘতম দিনে যদি আকাশ মেঘমুক্ত থাকে তাহলে সারাদেশ থেকে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।
ঢাকার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২৩ মিনিটে সূর্যগ্রহণ শুরু হবে। দুপুর ১টা ১২ মিনিটে সূর্যগ্রহণের সর্বোচ্চ পর্যায় ও দুপুর ২টা ৫২ মিনিটে গ্রহণ শেষ হবে।
বাংলাদেশে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা গেলেও উত্তর ভারত, পাকিস্তানের দক্ষিণ ভাগ, চীন, তাইওয়ান, মধ্য আফ্রিকা থেকে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।
আর বাংলাদেশ থেকে পরবর্তী সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে ২০২২ সালের ২৫ অক্টোবর।
সূর্যগ্রহণ দেখতে কী করবেন?
১. সূর্যকে নিরীক্ষণ করার বিশেষ গগলস বা সানগ্লাস পাওয়া যায়। সূর্যগ্রহণ দেখার সময় সেটি অবশ্যই যেন চোখে থাকে।
২. সূর্যগ্রহণের সময় আশপাশের ঝোপে কিংবা গাছের ছায়ার দিকে নজর রাখুন। গ্রহণের নানা আকার মাটির উপর পড়া সেই ছায়ায় খুঁজে পাবেন।
৩. খালি চোখে গ্রহণ দেখা অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই গ্রহণ দেখার জন্য চোখের সামনে ধরুন #১৩ অথবা #১৪ গ্রেডের ওয়েল্ডিং গ্লাস ।
৪. তবে ১১ গ্রেডের ওয়েল্ডিং কাচ দিয়েও গ্রহণ দেখা যাবে, সেক্ষেত্রে দুটি কাচ একত্রে জোড়া দিয়ে ব্যবহার করতে হবে। তবে কোনও ফিল্টার দিয়েই একনাগাড়ে বেশিক্ষণ তাকানো যাবে না।
৫. সোলার ফিল্টার ছাড়াও পিনহোল ক্যামেরা দিয়ে কোনেও কাগজ বা পর্দার ওপর সূর্যের প্রতিবিম্ব ফেলে গ্রহণ দেখা যেতে পারে।
কী করবেন না?
১. ভুল করেও খালি চোখে সূর্যের দিকে তাকাবেন না। এতে চোখের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এমনকি দৃষ্টিশক্তিও হারাতে পারেন।
২. সাধারণ সানগ্লাস কিংবা গগলস পরে গ্রহণ দেখার চেষ্টাও করবেন না।
৩. এক্সরে ফিল্ম, নেগেটিভ, ভিডিও বা অডিও ক্যাসেটের ফিতা, সানগ্লাস, ঘোলা বা রঙিন কাচে সূর্যগ্রহণের ক্ষতিকর অতিবেগুনী ও অবলোহিত রশ্মি আটকায়না। সেই সঙ্গে হ্যারিকেনের কালিমাখা কাচের মধ্যে দিয়েও সূর্যগ্রহণ দেখবেন না।
৪. পানির মধ্যেও সূর্যগ্রহণের প্রতিবিম্ব দেখবেন না।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-