চকরিয়ায় ‘রেড জোন’ এলাকায় লকডাউন ভেঙ্গে চলাচল করছে লোকজন

রাজু দাশ, চকরিয়া ◑

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে চকরিয়া পৌরসভা এবং ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ঝুকিপূর্ণ এলাকা ২,৩ ও ৮ নাম্বার ওয়ার্ডে কঠোর লকডাউনের কার্যকর করা হলেও উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে লকডাউন ভেঙে বেচাকেনা ও গণপরিবহনসহ ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।

গত শুক্রবার (৫ জুন) চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন লক ডাউন ঘোষণা করলেও (৭ জুন) রবিবার প্রথম রেড জোন’ এলাকায় কাঁচাবাজার, মার্কেট, দোকান ও বিপণী বিতানসহ সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন মালিকরা। এছাড়াও সড়কে চলাচল করছে সকল প্রকার যানবাহন। প্রথম রেড জোন ঘোষণা করে কার্যক্রম বাস্তবায়নে এখনো পুরোদমে মাঠে তৎপর হতে দেখা মিলেনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের। সচেতন মহল মনে করছেন, রেড জোন এলাকায় অাইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হলেই কেবল এ উপজেলার করোনা সংক্রমণ বিস্তার কমে অাসবে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, চকরিয়া পৌরসভা পুরে এলাকায় ও ডুলাহাজারা ইউনিয়ন আংশিক ওয়ার্ড রবিবার ৭ জুন থেকে ২১ জুন পযন্ত লক ডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউন চলাকালে শুধু স্বেচ্ছাসেবক ও জরুরিসেবা ছাড়া অন্য কেউ বাড়ি ঘর থেকে কোন অবস্থাতেই বের হতে পারবেন না। এ আইন অমান্যকারী দের আইনের আওতায় আনা হবে।

এ ছাড়া প্রতি সপ্তাহে রবিবার ও বৃহস্পতিবার সীমিত সময়ের জন্য কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর দোকান খুলতে পারবে। সেসময় স্বাস্থ্য বিধি মানাতে, সামাজিক ও শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখতে প্রশাসনের সেখানেও কঠোর মনিটরিং থাকবে। সপ্তাহের অন্যান্য সময় সকল মার্কেট, শপিং মল, দোকান, কাঁচা বাজার সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।

পৌরসভা এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যা, সীমিত পরিসরে মার্কেট খোলা। অনন্যা দিনের মতো সংখ্যায় কিছু কম হলেও যথারীতি যানবাহন চলেছে রেড জোন এলকায়। এমনকি অলিগলিতে মানুষের ভিড় দেখা গেছে।

স্থানীয় লোকজন জানান, চকরিয়া মানুষদের মাঝে এখনো করোনা ভাইরাসের তেমন কোন ধারণা নেই। প্রশাসন শুধু লকডাউন দিলেই হবে না সাথে সাথে সাধারণ মানুষদের করোনা সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে। এভাবে ঘর থেকে মানুষ বের হয়ে সামাজিক দূরত্ব আর স্বাস্থ্যবিধি না মানলে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকবে।

আরও খবর