করোনা উপসর্গ নিয়ে কক্সবাজারের জসিম চৌধুরীর মৃত্যু

শাহেদ মিজান ◑

করোনার উপসর্গ শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা গেলেন কক্সবাজার শহরের বিজিবি ক্যাম্প চৌধুরী পাড়া এলাকার পরিচিত ব্যক্তি মোঃ জসিম উদ্দিন চৌধুরী প্রকাশ জসিম বলী (৫৫)।

বৃহস্পতিবার (৪জুন) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে চট্টগ্রামের সার্জিস্কোপ হাপাতালে তিনি মারা যান। তাঁর ভাতিজা সাবেক জাতীয় বডিবিল্ডার নাজমুল ইসলাম এই তথ্য জানিয়েছেন।

নাজমুল ইসলাম জানান, তার চাচা জসিম উদ্দিন চৌধুরীর কয়েকদিন আগে জ্বর ও সর্দি হয়। চিকিৎসা নেয়ার পর জ্বর-সর্দি উঠানাম করেছিলো। কিন্তু এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁর শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।

কক্সবাজারের অক্সিজেন না পেয়ে জসিম উদ্দীন চৌধুরীকে ওইদিনই চট্টগ্রামের নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে পৌঁছেও প্রায় পাঁচঘন্টা কোনো হাসপাতালে ভর্তি করা যায়নি। সর্বশেষ রাত ১টার দিকে মোটা অংকের টাকা জমা করে তাঁকে সার্জিস্কোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ভর্তি করার আধা ঘন্টার মধ্যেই মারা যান জসিম উদ্দীন চৌধুরী।

নাজমুল ইসলাম বলেন, আমি চট্টগ্রামে রয়েছি। চাচার অসুস্থতার খবর পেয়ে তাকে আনার আগেই ভর্তির জন্য চট্টগ্রামের হাসপাতালের খোঁজ নিতে শুরু করি। কিন্তু সিএসসিআর হসপিটালে আইসিইউ থাকলেও করোনা উপসর্গ থাকায় তারা ভর্তি করায়নি।

ম্যাক্স হসপিটাল, পার্কভিউ হসপিটাল, ইবনে সিনা, পিপলস হসপিটাল সব ঘুরে দেখি কোথাও আইসিইউ নাই। শেষে বাধ্য হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি করালাম। কিন্তু ওখানে ভর্তি করতে করতে তারা আড়াই ঘন্টা সময় লেগে যায়। এর মধ্যে চাচার অবস্থা আরো সংকটময় হয়ে যায়। তাই বাধ্য হয়ে খোঁজ নিয়ে সার্জিস্কোপে নিয়ে যাই। সেখানে এক লাখ টাকা অগ্রিম দিয়ে ভর্তি করাই। কিন্তু আধার ঘন্টার মধ্যেই চাচা মারা।

নাজমুল ইসলাম বলেন, আমি নিশ্চিত করে বলতে পারবো আমার চাচা সময় মতো চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছেন। আগে চিকিৎসা পেলে হয়তো তিনি বেঁচে যেতেন।

জানা গেছে, জসিম চৌধুরী একজন সুঠাম দেহের অধিকারী মানুষ। যুবক বয়সে বলী খেলতেন এবং শরীর চর্চা করতেন। ৫৫ বয়সেই শারীরিকভাবে বেশ চাঙ্গা ছিলেন তিনি। তবে তিনি হাঁপানি রোগী ছিলেন। তার জন্য নিয়মিত তাকে ইনহেলার ব্যবহার করতে হতো।

জসিম উদ্দীন চৌধুরীর মরদেহ রাতেই কক্সবাজারে নিয়ে আসা হয়েছে। করোনা বিধি মেনে আজ শুক্রবার জানাযা শেষে তাকে দাফন করা হবে বলে জানা গেছে।

আরও খবর