দাখিল পরীক্ষায় দুই সহোদরের কৃতিত্ব

নিজস্ব প্রতিবেদক ◑

আহসান হাবীব ইমরোজ ও আমিমুল ইহসান আবিদ পরিবারের ৬ ভাই, দুই বোনের সর্বকনিষ্ট।

এই দুই সহোদর চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ফুলছড়ি ইসলামিয়া আদর্শ দাখিল মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষা দিয়েছিল।

রবিবার (৩১ মে) তাদের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।

ফলাফলে দেখা গেছে, আহসান হাবীব ইমরোজ ০৪.০৬ এবং আমিমুল ইহসান আবিদ ০৪.৭৫ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়েছে।

তারা কক্সবাজার সদর উপজেলার লবনশিল্প নগরী ইসলামপুরের নতুন অফিস পাড়ার বাসিন্দা। পিতা ফরিদুল আলম, মাতা- দিলফিরোজ বেগম। তাদের বড় ভাই ইমাম খাইরও একই প্রতিষ্ঠান থেকে ১৯৯৯ সালে দাখিল পরীক্ষায় রেকর্ড পরিমাণ নাম্বারসহ প্রথম শ্রেনীতে পাশ করেন।

পরিবারের কনিষ্ট দুইজনের বয়সের দিক দিয়ে ইমরোজ বড়। কিন্তু জীবনের প্রথম একাডেমিক সনদ পরীক্ষার ফলাফলে এগিয়ে আছে আবিদ।

তবে, তারা দুই সহোদরের মধ্যে রয়েছে চরম বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। একে অপরকে সহযোগিতা করেই এ পর্যন্ত এসেছে। ফলাফল যাই হোক- তাদের টার্গেট অনেক বড়। চাওয়া আলোকিত মানুষ হওয়া।

পরিবারের সর্বকনিষ্ট সন্তান হিসেবে আমিমুল ইহসান আবিদ একটু ছাড় পায়। কাজের চাপও কম। তাই তুলনামূলক ভাল ফলাফল করেছে।

আহসান হাবীব ইমরোজ বাড়ির প্রায় কাজে সহযোগিতা করতে গিয়ে পড়াশুনার সুযোগ-সময় একটু কম পেয়েছে। ফলাফল আরো ভালো হওয়ার কথা থাকলেও কুলিয়ে উঠতে পারে নি। তবে, সামনে আরো কৃতিত্বপূর্ণ রেজাল্ট করার আশা তার।

আর আবিদও এই ফলাফলকে ভিত্তি করে আগামীতে আরো চকম দেখাতে চায়।

সুন্দর ভবিষ্যৎ নিবির্মাণে সবার দোয়া চেয়েছে ইমরোজ ও আবিদ।

এদিকে, জীবন সংগ্রামের মধ্যেও দাখিল পরীক্ষায় ইমরোজ ও আবিদের এই ফলাফলে সন্তুষ্ট পরিবারের সবার বড় সন্তান সাংবাদিক ইমাম খাইর।

তিনি আল্লাহর শুকরিয়ার পাশাপাশি শিক্ষক, মা-বাবা, ভাই-বোনসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

ইমাম খাইর বলেন, ভালো সনদের চেয়ে ভালো মানুষ হওয়া জরুরী।

কৃতি দুই ভাই ইমরোজ ও আবিদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘তোদের মাধ্যমে উজ্জ্বল হোক মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজনের চেহারা। সমৃদ্ধ হোক সমাজ ও দেশ। আলোকিত মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করো নিজেকে।’

আরও খবর