রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ: উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা

ইমরান আল মাহমুদ,উখিয়া ◑

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে নিঃস্তব্ধতার সাথে সময় পার করছে পুরো বিশ্ব। সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশের  অবস্থাও দিন দিন ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করে প্রজ্ঞাপন জারির পরও দিন দিন রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জনসাধারণকে সচেতনতায় ফেরাতে মাঠে সক্রিয় রয়েছে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তারা জনগণকে সচেতনতায় ফেরাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে কক্সবাজার একটি রোহিঙ্গা অধ্যুষিত জেলা। উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় লাখ লাখ রোহিঙ্গাদের বসবাস।

সম্প্রতি রোহিঙ্গা শিবিরে করোনা ভাইরাস হানা দিয়েছে। বিগত ৪-৫দিনের প্রতিদিনই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের ঘনবসতি বেশি ক্যাম্পজুড়ে। তারা মানেনা কোনো নিরাপদ দূরত্ব। যার ফলে পরিস্থিতি ভয়াবহতার দিকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।

তবে রোহিঙ্গা শিবিরে করোনা ভাইরাস হানা দেওয়ার সূত্র কোথায়? এমনটাই প্রশ্ন উখিয়ার স্থানীয় সচেতন মহলের। সচেতন মহলের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন ক্যাম্পে কর্মরত এনজিওকর্মী যারা করোনা ভাইরাসের লকডাউনেও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসে কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে মূলত তাদের সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হওয়ার সন্দেহ প্রকাশ করছেন তারা।

এনজিও সংস্থায় কর্মরত এনজিওকর্মীও করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর ছড়িয়ে পড়লে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। উখিয়া উপজেলার প্রত্যেক স্টেশন গ্রামে এনজিও সংস্থার লোকজন বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে এবং প্রতিনিয়ত ক্যাম্পে আসা যাওয়া করে।
তাছাড়া স্থানীয় চাকুরীজীবিদের নিয়েও শঙ্কা রয়েই যাচ্ছে বলে দাবি জনসাধারণের।

তাই প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা এনজিও সংস্থার লোকজনকে চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতের দাবিও তুলেছেন সচেতন মহল।

তবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে উখিয়া উপজেলা প্রশাসন শুরু থেকেই আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবুও প্রতিনিয়ত জনসাধারণের অসচেতনতা লক্ষ্য করা যায়।

আরও খবর