মুফিজুর রহমান, নাইক্ষ্যংছড়ি :
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে লকডাউন শিথিলের পর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বেড়েছে দর্জিদের কর্মব্যস্থতা। করোনা সংকটে দেশব্যাপি নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা থাকলেও বন্ধ ছিল কাপড়ের দোকান গুলো।
কিন্তু লকডাউন শিথিল হওয়ায় আবারো কর্মে ফিরেছেন দর্জিরা। তবে এবারে দিনমজুররাই বেশি করে কাপড় সেলাই করছেন বলে জানিয়েছে দর্জিরা।
সোমবার সকালে উপজেলার বাইশারী বাজারের বিভিন্ন কাপড়ের দোকান ঘুরে দর্জিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন তারা লকডাউনের কারণে কর্মস্থানে কাজ করতে পারেননি। ফলে সবার মত তাদেরও কিছুটা আর্থিক সংকটে ভোগতে হয়েছিল। কিন্তু লকডাউন শিথিলের পর পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ক্রেতারা নতুন কাপড় ক্রয়ে ছুটে আসছেন। এবারে দিনমজুর বা নিম্মবিত্তরাই কাপড় সেলাই করছেন বেশি। তাতে কমে গেছে আর্থিক সংকট।
দর্জি মোঃ সালমান ও ঝন্টু ধর জানায়, তারা একটি পাঞ্জাবী সেলাইয়ে দাম নিচ্ছেন ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, প্যান্ট সেলাইয়ের দাম নিচ্ছেন ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত, শার্ট ২০০ টাকা এবং ত্রিপিচ নিচ্ছেন ১৫০ টাকা করে। দর্জি আমানুল হক জানায়, বাজারে প্রায় অর্ধশত দর্জি কাজ করে থাকেন। তার এখানে পাঞ্জাবী সেলাইয়ের সংখ্যাই বেশি। লকডাউন শিথিল হওয়ায় কাপড় সেলাইয়ে ফের ব্যস্থ হয়ে পড়েছেন বাজারে থাকা দর্জিরা।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-