কক্সবাজারে প্রথমবার তিন শিশু করোনায় আক্রান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক ◑ কক্সবাজার জেলায় লকডাউনের আড়াই মাস অতিক্রান্ত হতে চলেছে, কিন্তু কোনওভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না করোনা। পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত জেলার ৭ উপজেলায় করোনার সংক্রমন ছড়িয়ে পড়ায় স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলাবাসী মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।

কক্সবাজারে এতদিন যুবক ও বয়স্করা করোনায় আক্রান্ত হলেও বুধবার জেলায় প্রথম একদিনে তিন কোমল শিশু করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত তিন শিশুই উখিয়ার একই পরিবারের এবং তাদের বয়স ৬ বছর,১১ বছর ও ১৪ বছর।

১৩মে বুধবার বিকেলে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে স্থাপিত পরীক্ষাগার থেকে তাদের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পজেটিভ এসেছে।এর ফলে জেলায় এই প্রথম একই পরিবারের ৪ জন এবং তিন শিশুর শরীরে করোনো ভাইরাস সংক্রমণের প্রমাণ মিলল।

করোনায় আক্রান্তরা উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের খোন্দকার পাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং তাদের পিতাও করোনা পজিটিভ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন হতভাগা তিন শিশু পিতার মাধ্যমেই আক্রান্ত হয়েছেন।

উখিয়া উপজেলা স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রনজন বড়ুয়া করোনা আক্রান্ত তিন শিশুর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়ম অনুয়ায়ী তাদের সুচিকিৎসা দেয়া হবে।

উল্লেখ্য,কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ল্যাবে গত ২ এপ্রিল থেকে ১৩মে পর্যন্ত ১৩৩ জনের পজিটিভ এবং ৩০০৫ জনের করোনা নেগেটিভ পাওয়া গেছে। আর জেলায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১২০ জন।এর মধ্যে মৃত্যূ হয়েছে রামুর ১ জনের। আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ চকরিয়াতে ৩৬ জন,সদর উপজেলায় ২৭ জন,পেকুয়ায় ২০ জন,উখিয়ায় ১৪জন,মহেশখালীতে ১২ জন,টেকনাফে ৭ জন এবং রামুতে ৪ জন রয়েছেন। তবে এখনো করোনা মুক্ত রয়েছে কুতুবদিয়া উপজেলা ও ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প।

তবে এক সপ্তাহ ধরে হঠাত করোনা রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলাবাসীর মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। জেলায় গত ৫মে ১১ জন, ৬মে ২ জন,৭মে সর্বো্চ্চ ১৯জন, ৮মে ৪ জন,৯মে ৬জন, ১০মে ১০ জন,১১ মে ১১ জন,১২মে ৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর আজ ১৩মে বুধবার আরও ৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে গত নয় দিনেই আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ জন।

আরও খবর