রাজু দাশ, চকরিয়া ◑
কক্সবাজার চকরিয়ায় একটি জামে মসজিদ
৩৯ লক্ষ ২০হাজার ফান্ডের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় আওয়ামীলগ নেতা ফরিদুল ইসলাম বিরুদ্ধে। মসজিদের টাকা আত্মসাৎ প্রচার হলে সমালোচলনার ঝড় বইছে।
স্থানীয় মুসল্লিগণ অভিযোগ, চকরিয়া পৌরসভার দক্ষিণ বাটাখালী ৪নং ওয়ার্ডে বায়তুচ্ছালাম জামে মসজিদের গত ১ জুন ২০১৬ সালে সভাপতি নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে ১১সদস্য বিশিষ্ট কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কিন্তু দুই বছর অতিবাহিত হলেও তারা দায়িত্ব হস্তান্তর না করে ক্ষমতার দাপটে অতিরিক্ত দুই বছর দায়িত্ব পালন করেন। এই দীর্ঘ ৪ বছরে মসজিদের নিজস্ব আয় ৩৯ লক্ষ ২০হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন তারা। এসব অপকর্মে সহযোগিতা করে আসছেন আবু তাহের মাষ্টারের ছেলে পৌরসভা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুসল্লিরা জানান,
দীর্ঘ ৪ বছর মসজিদের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের সাথে প্রতারণা করেছেন। মসজিদের কমিটির কাজ অগ্রগতি হয়েছে না। মসজিদের খরচের হিসাব চাইতে গেলে তিনি কোন হিসাব দেন না। মুসল্লিদের সামনে আয় ব্যয়ের হিসাব না দিয়ে মসজিদ টাকা আত্মসাৎ করার লক্ষ্যে গত ২১ এপ্রিল ২ জন উপদেষ্টাসহ ১৫ সদস্যের একটি এডহক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এডহক কমিটিকে আগের কমিটির যাবতীয় হিসাব-নিকাশ বুঝিয়ে দেয়ার জন্য বলা হলেও তারা এ বিষয়গুলো এড়িয়ে যান।
নিজেদের মসজিদে টাকা আত্মসাৎ এবং নানা অপকর্ম ঢাকতে পাল্টা একটি নিজেরা কমিটি ঘোষণা করেন।
তারা আরো জানান, পুরাতন কমিটির সভাপতি- সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম নামের স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকে ব্যবহার করে মসজিদের জমি, পুকুর ও দোকানপাট দখলে রেখেছেন। এই দীর্ঘ ৪ বছরে মসজিদের নিজস্ব আয় ৩৯ লক্ষ ২০হাজার মসজিদের টাকা আত্মসাৎ এলাকার মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এদিকে যে কোন সময় এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের সম্মুখীন হতে পারে বলে জানান এলাকাবাসী।
এলাকার মুসল্লীগণ এ ব্যাপারে প্রশাসনের তদন্ত সাপেক্ষে আত্মসাৎকারীদের আইনগতভাবে শাস্তির ব্যবস্থা সৃষ্ট একটি কমিটি গঠনের ব্যবস্থার দাবী জানিয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-