আনছার হোসেন, সিভি ◑কক্সবাজার জেলায় করোনা আক্রান্তের মিছিলে যোগ দিলেন আরও ৯ জন। এদের মধ্যে কক্সবাজার সদরে দুইজন, উখিয়া উপজেলায় ৫ জন ও চকরিয়া উপজেলায় দুইজন রয়েছেন। এছাড়াও চকরিয়ার একজন ‘ফলোআপ’ রোগীর টেস্ট আবারও ‘পজিটিভ’ এসেছে।
বুধবার (১৩ মে) কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৮৫ জন সন্দেহভাজন রোগীর টেষ্ট শেষে এই তথ্য মিলেছে। টেস্টে ১৭৫ জনের রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ পাওয়া গেছে।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ ও রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অনুপম বড়ুয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ দিন পার্বত্য বান্দরবান জেলা ও চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও লোহাগড়া উপজেলায় নতুন করে করোনা পজিটিভ কোন রোগী পাওয়া যায়নি।
বুধবারের ৯ জন মিলিয়ে টানা ৪৩ দিনে কক্সবাজার জেলায় ১১৯ জন ও বান্দরবান জেলায় ৯ জন এবং চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও লোহাগড়া উপজেলায় ৭ জন করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
ইতোপূর্বে ঢাকায় আইইডিসিআর ল্যাবে শনাক্ত হওয়া কক্সবাজারের প্রথম করোনা রোগী মুসলিমা খাতুনসহ কক্সবাজার জেলায় এখন করোনা রোগীর সংখ্যা ১১১ জনে দাঁড়িয়েছে।
কক্সবাজার ল্যাবে বুধবার পর্যন্ত ৩ হাজার ১৭৬ জন সন্দেহভাজন রোগীর ‘কোভিড ১৯’ পরীক্ষা করা হয়েছে।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ক্লিনিক্যাল ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ও সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ শাহজাহান নাজির ও কলেজের প্যাথলজি বিভাগের প্রধান ডা. রূপেশ পালও এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে ডা. শাহজাহান নাজির জানান, কক্সবাজার জেলায় এখন পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া করোনা রোগীর মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলায় ২৫ জন, রামু উপজেলায় ৪ জন, চকরিয়া উপজেলায় ৩৭ জন (প্রথম রোগীসহ), মহেশখালী উপজেলায় ১২ জন, উখিয়া উপজেলায় ১৪ জন, টেকনাফ উপজেলায় ৯ জন, পেকুয়া উপজেলায় ১৮ জন ও কুতুবদিয়া উপজেলায় একজন রয়েছেন।
তবে কুতুবদিয়া উপজেলার নামে একজন রোগী থাকলেও তিনি নমুনা পরীক্ষা করেছেন কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মাধ্যমে। যিনি কক্সবাজার শহরের পূর্ব কুতুবদিয়া পাড়া এলাকায় বসবাস করেন। সেই হিসেবে কুতুবদিয়া উপজেলা এখনও করোনা মুক্ত রয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-