কক্সবাজারে মাসিক ও পরীক্ষার ফি চাইছে অনেক স্কুল

মাহবুবুর রহমান ◑

করোনা পরিস্থিতির কারনে ১৭ মার্চ থেকে সারা দেশে শিক্ষা প্রতিষ্টান বন্ধ আছে একই সাথে বন্ধ আছে পরীক্ষা সহ সব ধরনের কার্যক্রম।

কক্সবাজার জেলাতেও বন্ধ রয়েছে সব শিক্ষা প্রতিষ্টান। এর মধ্যেও অনেক শিক্ষা প্রতিষ্টান থেকে অভিবাবকদের ফোন করে মাসিক ফি এবং পরীক্ষা ফি চাইছে বলে জানান অসংখ্য অভিবাবক। এড, গিয়াস উদ্দিন জানান,আমার মেয়ে শহরের বৈল্যাপাড়া এলাকার একটি সুনামধন্য স্কুলে ১ম শ্রেণীতে পড়ে কিন্তু গত ২ মাস ধরে স্কুল বন্ধ থাকলেও হঠাৎ করে ৭ মে সন্ধ্যায় স্কুলের ও শ্রেণী শিক্ষক সেলি ম্যাডাম ফোন করে বলেছে মেয়ের মাসিক ফি এবং পরীক্ষার ফি দিয়ে যেতে এতে আমি অবাক হয়ে গেলাম। পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে আরো কয়েক জনের কাছে ফোন করে টাকা চেয়েছে।

এ ব্যাপারে শ্রেনী শিক্ষক সেলিনা জানান,কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমি মাসিক এবং পরীক্ষার ফি চেয়ে ফোন করেছি। পরীক্ষার ফি কি বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা পরীক্ষা সিট তৈরি করে বাড়িতে বাড়িতে পৌছে দিব। এদিকে শহরের টেকপাড়া কালুর দোকান এলাকার একটি কেজি স্কুলে থেকে মাসিক এবং পরীক্ষার ফি পরিশোধের জন্য অভিবাবকদের ফোন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে।

বেশ কয়েকজন অভিবাবক জানান, স্কুলের ফোন পেয়ে আমরা ৭৫০ টাকা পরিশোধ করার পর আমাদের হাতে একটি ফটোকপি সিট ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেছে এগুলো বাচ্চাদের বাসায় পড়াবেন। রামু উপজেলার মোহাম্মদ হোসেন ফোনে জানান, আমার ৩ ছেলে মেয়ে সবাই উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ে ২ স্কুল থেকে ফোন করে মাসিক এবং পরীক্ষার ফি দাবী করেছে আমি পরীক্ষার কি জন্য ফি দিব জানতে চাইলে তারা বলেন,পরীক্ষার ফি অবশ্যই দিতে হবে।

এদিকে সচেতন মহলের দাবী করোনা কালিন সংকটে মানুষের সব ধরনেরআয় উপর্যন বন্ধ সরকার সব খেত্রে সাধারণ মানুষকে সহায়তা করছে সংকট কাটিয়ে উঠার জন্য। কিন্তু এর মধ্যে কোন পড়ালেখা না করিয়ে পরীক্ষা না নিয়ে কিভাবে পরীক্ষার ফি আদায় করতে পারে সেটা নিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে অভিভাবকরা।

তাদের দাবী যদি স্কুলের শিক্ষকদের বেতন ভাতা বা অন্যকোন কাজে মাসিক ফি দিতে ও হয় পরীক্ষার ফি নেওয়ার কোন প্রশ্নই আসেই আসেনা। এটা বাড়াবাড়ি বলে মনে করেন অভিবাবকরা এছাড়া সারা বছর লাভ করে স্কুল পরিচালনা কমিটি লাখ লাখ টাকা আয় করেছে সেখান থেকে কিছু সংকট কালিন ব্যায় করার জন্য স্কুল পরিচালনা কমিটির প্রতি পরামর্শ দেন অভিবাবকরা।

এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সফিউল আলম বলেন, আমাদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোথাও কোন ধরনের ফির জন্য ফোন করেছে বলে আমার জানা নেই। তবে কিছু কেজি স্কুল আছে তারা হয়তো করতে পারে। কিছু স্কুল আছে শুধু মাত্র শিক্ষার্থীদের আয়ের উপর নির্ভরশীল।

তবে শুধু মাত্র প্রয়োজনীয়তা ছাড়া পরীক্ষার ফি নেওয়াটা অযৌক্তিক বলে মনে করেন তিনি।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাও একই মত দিয়ে বলেন, এই মুহুর্তে পরীক্ষার ফির জন্য কোন অভিভাবকদের ফোন করা মোটেও উচিত হয়নি। /দৈনিক কক্সবাজার

আরও খবর