প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও নিন্দা

গত ৭মে স্থানীয় কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় ’একজন সানাউল্লাহ স্যার থেকে সন্ত্রাসী সানাউল্লাহ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কাল্পনিক। এহেন মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন ও তথ্য বিহীন সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

উক্ত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে সানা উল্লাহ বলেন,
সংবাদে আমার মান ক্ষুণ্ণ করার জন্য একটি চক্র আজেবাজে তাদের ইচ্ছেমতো লিখিয়েছে। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারী সে চক্রটিকে বলতে চাই মন চাইলে বানোয়াট কিছু লিখে মানুষের মান ক্ষুণ্ণ বা ভালো কাজ করা থেকে বিরত রাখতে পারবেন না।

আমি সানা উল্লাহ এমন খারাপ কোনো সময়ের জন্য জড়িত ছিলাম না; আগামীতেও থাকবো না। কারা কি করেছে সেটা আমি জানি না; তবে কোনো অপরাধের সাথে আমি কোনো সময়ের জন্যও জড়িত ছিলাম না। একটি মহল তিলকে তাল বানিয়ে আমাকে বেকায়দায় ফেলানোর চেষ্টা করছে এবং ঘটনাটি ভিন্নভাবে উপস্থাপনা করে যাচ্ছে সাংবাদিক ভাইয়ের কাছে।

এমন সময় আমার বিরুদ্ধে মনগড়া মিথ্যা সংবাদ সত্যিই দু:খজনক। অপরাধে জড়িত থেকে আমি কোনো সময় সমাজে বসবাস করিনি। আগামীতেও বসবাস করবো না। বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমার বিষয়ে অনেক কিছু মন্তব্য বা সংবাদ উপস্থাপনা করা হয়েছে। যার বিন্দুমাত্রও আমি অবগত নয়। প্রকাশিত সংবাদও আমি দেখিনি। আমার পরিবার ও এলাকার লোকজন সংবাদের বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে। যা শুনে আমি আসলেই মর্মাহত। তাছাড়া সংবাদে ছিনতাইকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি আরো ব্যতিত করেছে আমাকে।

প্রকাশিত সংবাদে আমি সানা উল্লাহর নাম জড়িয়ে দেয়ায় আমি এবং আমার পরিবার সত্যিই বিস্মিত ও মর্মাহত। সংবাদে নাম জড়িয়ে প্রকাশিত সংবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ও শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মাত্র।

এলাকায় সবসময়ই ভালো কাজের জন্য সবার মাঝে অনুপ্রেরণা জাগিয়েছি। এলাকায় যুবকেরা মাদক, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত না হওয়ার জন্য খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করেছি। উখিয়া উপজেলার একজন শ্রেষ্ট ক্রীড়াবিদ হিসেবে আমার খ্যাতি আছে। এছাড়া খেলাধুলায় সোনাইছড়ি এলাকার মুখ উজ্জ্বল করতে কাজ করে গেছি। এলাকায় পর পর ২টি শেখ রাসেল গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট, শহীদ এটিএম জাফর আলম গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট, সোনাইছড়ি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট। আমার স্পন্সর এ শাহেদা আক্তার আজ মেসি। বর্তমানে একজন আন্তর্জাতিক নারী ফুটবলার।

এছাড়াও জালিয়া পালং উচ্চবিদ্যালয়ের পর পর ০২ বার শিক্ষানুরাগী সদস্য। জালিয়া পালং উচ্চবিদ্যালয়ে ১৪ শতক জমি দান করেছি। জালিয়া পালং উচ্চবিদ্যালয়ের দাতা সদস্য। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন ১৫ বছর ধরে সরকারী চাকুরীতে নিয়োজিত আছি।

এককথায় বলতে চাই, এমন অপরাধে আমি জড়িত নয়। একটি কুচক্রী মহল কেন জানি বার বার আমার নাম ব্যবহার করে কুৎসা রটাচ্ছে। অথচ যার কোন কিছুর সাথে আমি জড়িত নাই। আমি চাই অহেতুক আমার মতো মানুষ হয়রানির শিকার না হয়। না জানে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকিব।

আমি আরো বলতে চাই, আমাদের পরিবারের একটি সুনাম আছে কক্সবাজারে। সবাই আমাদের চেনে জানেন। তাই বলে মানুষকে নিয়ে মনগড়া ইচ্ছাকৃতভাবে যেনতেন সংবাদ প্রকাশ করা ভালো লক্ষণ নয়। উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে একটি চক্র পত্রিকার মাধ্যমে চরিত্র হরনের চেষ্টা করেছে আমার ও আমার পরিবারের।

আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই যে, আমি একজন সানা উল্লাহর বিরুদ্ধে অপপ্রচার ছড়িয়ে মূল ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে মূল ষড়যন্ত্রকারীকে আড়াল করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে বলে মনে করছি।

এলাকার কিছু অশিক্ষিত দুষ্কৃতকারী ব্যক্তি ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তাদের অনুরোধ করব সিয়াম সাধনার মাস ও বিশ্ব মহামারীর এ সময়ে মহান আল্লাহকে স্মরণ করে নিজ নিজ আত্মশুদ্ধির দিকে মনোনিবেশ করতঃ ষড়যন্ত্রমূলক ও প্রশ্নবিদ্ধ মিথ্যা সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকুন। পাশাপাশি এমন মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য প্রশাসনসহ সর্বস্তরের মানুষের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ রইল।

প্রতিবাদকারী:
ছানা উল্লাহ
পিতা: মৃত বজল আহমদ।

জালিয়া পালং,উখিয়া  

আরও খবর