সরওয়ার আলম শাহীন ◑
করোনা ভাইরাসের কারনে লকডাউনের শুরু থেকে উখিয়ার কর্মহীন জনগনের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উখিয়ার ইউএনও নিকারুজ্জামান চৌধুরী। রাতবিরেতে পৌছে দিচ্ছেন খাদ্যসামগ্রী। যে কোন অভিযোগে ছুটে যাচ্ছেন গ্রামাঞ্জলে।
লকডাউনে জনগনকে ঘরে রাখার প্রাণান্ত চেষ্টার পাশাপাশি বাজারের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, এনজিও সমস্যা, কোয়ারেন্টাইন, উপজেলা প্রশাসন সামলাচ্ছেন একাই। তারপরও প্রতিদিন মানুষের ফোন,না পাওয়ার বেদনাসসহ সবকিছু শুনছেন হাসিমুখে। কাউকে তিনি নিরাশ করেননি। হয়তো দিয়েছেন,নয়তো সামনে দেবেন এরকমই বলেছেন। এতকিছুর পরও তিনি বিশ্রাম নিতে পারেননা।
দিনের ব্যস্ততার পর আবার অফিস করেন রাতে। কখনো রাত ১২,কখনো ১ টা,কখনো ২ টা পর্যন্ত চলে অফিস। এই নিয়মটা চলছে করোনা ভাইরাসের কারনে লকডাউন শুরুর পর থেকেই। তিনি ঘুমান মাত্র কয়েক ঘন্টা। সকাল ৯ টায় আবার অফিস। এ যেন ইউএনও নিকারুজ্জামানের জন্য নিয়ম হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার কাজ করেছেন রাত ১ টা পর্যন্ত। বুধবারও অফিস ছাড়তে পেরেছেন রাত ২ টায়।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে ইউএনও নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, জনগনের জন্য কাজতো করতেই হবে। সরকার আমাকে নিয়োগ দিয়েছে জনগনের ভালোমন্দ দেখার জন্য,যাতে সরকারের দূর্নাম না হয়। এখন রাত ১ টা বাজে। এখনো আমি আমার কয়েকজন সহকর্মীকে নিয়ে কাজ করছি।
করোনার কারনে সরকারের পক্ষ থেকে ৫ ইউনিয়নে যে মানবিক সহায়তা দেওয়া হবে সেটা সফটওয়্যারে ঢুকানোর কাজ চলছে। ৫ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে পাওয়া তালিকা থেকে যাচাই-বাছাই করে ৫ হাজার ৮শ জন মানুষের ডাটা আবার নতুন সিস্টেমে সফটওয়ারে আপলোড করতে হচ্ছে। মানুষের জন্য কষ্টতো একটু করতেই হবে বলেন তিনি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-