‘বন্দুকযুদ্ধে’ শিশু আলিফ হত্যার প্রধান আসামি নিহত

ডেস্ক রিপোর্ট ◑ গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শিশু আলিফ হোসেন (৫) হত্যার  প্রধান  আসামি জুয়েল আহমেদ সবুজ (২২) নিহত হয়েছেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়।

রোববার (৩ মে) দিনগত রাতে হরিণাচালা কাশিমপুর জেলখানা রোড এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। এ ঘটনায় র‌্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। সবুজ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার পদিপাড়া এলাকার রফিক উল্লাহর ছেলে।

গাজীপুর র‌্যাব-১ এর কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত আলিফ কোনাবাড়ী থানার পারিজাত আমতলা এলাকা ফরহাদ হোসেনের ছেলে।

এর আগে গত ২৯ এপ্রিল গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী থানার পারিজাত আমতলা এলাকা থেকে অপহরণের পর আলিফকে হত্যা করা হয়। পরে অপহরণের পাঁচদিন পর গত শনিবার (২ মে) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নিজ বাসার তিন তলার একটি গুদাম থেকে আলিফের মরদেহ উদ্ধার করে র‌্যাব ও পুলিশ।

গাজীপুর র‌্যাব-১ এর কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গত ২৯ এপ্রিল বিকেলে আলিফকে অপহরণ করে সবুজ ও সাগর। অপহরণের পর ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছিল তারা। এক পর্যায়ে নিহতের বাবা ফরহাদ মুক্তিপণের ২০ লাখ টাকা দিতে রাজি হয়। পরে ওই টাকা দিতে মোবাইলে বিভিন্ন জায়গায় তাকে যেতে বলে অপহরণকারীরা। এক পর্যায়ে গত শনিবার সন্ধ্যায় মুক্তিপণের ২০ লাখ টাকা নিয়ে পূবাইল এলাকায় যান তিনি। সেখান থেকে সাগরকে আটক করে র‌্যাব সদস্যরা। পরে তার দেয়া তথ্য মতে, ফরহাদের ভাড়া দেওয়া একটি বাড়ির তৃতীয় তলায় ঝুট গুদাম থেকে আলিফের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, রোববার দিনগত রাত ২টার দিকে কোনাবাড়ী কাশিমপুর জেলখানা রোড এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে সবুজের ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। এসময় সবুজের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় র‌্যাবের দুই সদস্য আহত হন।

আটক সাগর জিজ্ঞাসাবাদে র‌্যাবকে জানায়, গত কয়েকদিন আগে আলিফের বাবা ফরহাদ ভাড়াটিয়া সবুজকে কারণবশত থাপ্পড় মারে। এর প্রতিশোধ নিতে সবুজ অপহরণ করে আলিফকে। পরে তাদের বাড়ির তিন তলায় একটি ঝুট গুদামে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে আলিফকে।

আরও খবর