ডেস্ক রিপোর্ট ◑ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (পিংকি) থাকেন পুরো পরিবার নিয়ে ঢাকায়। চাকরি করেন এক্সিম ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে। বাবা আবদুল হক প্রকাশ (সাইয়া) টিএন্ডটির কর্মকর্তা। করোনায় সরকারি বন্ধ, তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে আয়োজনের।
ঢাকার লকডাউন ভেঙ্গে পুরো পরিবার নিয়ে গত ২৭ এপ্রিল চলে আসেন গ্রামের বাড়ি বোয়ালখালীর ১ নম্বর কধুরখীল ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নূর আহম্মদ জমাদারের বাড়ি প্রকাশ পেয়ারি বাপের বাড়িতে। এরই মধ্যে তাদের করোনা প্রবণ অঞ্চল থেকে গ্রামে আসা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে কৌতুহল সৃষ্টি হলে স্থানীয় চেয়ারম্যান শফিউল আজম শেফু ও মেম্বার ইমরানুল হক মামুন একাধিকবার অনুরোধ করেন পুরো পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে। সরকারি কর্মকর্তা আর বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা হওয়ায় কে শুনে কার কথা ?
চেয়ারম্যান মেম্বারের অভিযোগ, ওই পরিবারকে অনুরোধ করার পরও হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকেননি। ইতোমধ্যে আজ শুক্রবার (১ মে) ভোর ৬টায় উপজেলা পশ্চিম কধুরখীল থেকে বিয়ে করে বউ নিয়ে আসে ঘরে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করে। সরকারের সব ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা তারা অমান্য করলে স্থানীয়রা বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানান।
পরে আজ বিকেলে সরজেমিনে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত ঘটনার সত্যতা পান। এ সময় সরকারি নির্দেশ অমান্য করায় বরকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং ১৪ দিন স্বামী-স্ত্রী আলাদা কোয়ারেন্টাইনে থাকতে নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইমরানুল হক মামুন জানান, ঢাকা থেকে আসা পরিবারটি কারও কথাই মান্য করছিলো না। উপরন্তু আজ আবার বিয়ে করে বউ ঘরে তুলে। সচেতন নাগরিক হয়েও এ ধরনের আচরণে আমরা ক্ষুদ্ধ। প্রশাসন সঠিক কাজটিই করেছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-