মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী ◑
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে বৃহস্পতিবার ৩০ এপ্রিল আরো ১৭ জন করোনা ভাইরাস রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে শুধুমাত্র কক্সবাজার জেলার ১৩ জন করোনা ভাইরাস রোগী রয়েছে। এটা কক্সবাজারে একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ার রেকর্ড। ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী ছিলো ২৪ জন।
৩০ এপ্রিল সনাক্ত হওয়া রোগী সহ কক্সবাজারের মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হলো মোট ৩৭ জন।
৩০ এপ্রিল করোনা ভাইরাস রোগী সনাক্ত হওয়াদের মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলায় ৫ জন, পেকুয়া উপজেলায় ২ জন, উখিয়া উপজেলায় ২ জন ও চকরিয়া উপজেলায় ৪ জন। বাকীদের মধ্যে ৩ জন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ও একজন বান্দরবান সদর উপজেলায়।
৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সর্বপ্রথম পেকুয়া উপজেলায় ২ জন করোনা ভাইরাস রোগী সনাক্ত হয়। কক্সবাজার জেলার ৮ টি উপজেলার মধ্যে শুধুমাত্র কুতুবদিয়া উপজেলায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোন করোনা ভাইরাস রোগী ধরা পড়েনি।
কক্সবাজার জেলার করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর মধ্যে মহেশখালীতে ১০ জন, কক্সবাজার সদর উপজেলায় ৭ জন, চকরিয়া উপজেলায় ৭ জন, উখিয়া উপজেলায় ৬ জন, টেকনাফ উপজেলায় ৪ জন, পেকুয়া উপজেলায় ২ এবং রামু উপজেলায় ১ জন রোগী রয়েছে।
কক্সবাজারে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা দিন দিন আশংকাজনকভাবে বাড়তে থাকায় নড়েচড়ে বসছেন প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। আগামীতে কক্সবাজারে করোনা সংকট আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে এ আশংকায় দফায় দফায় বৈঠক করে আপদকালীন করণীয় ঠিক করছেন। কক্সবাজার জেলা করোনা বিষয় সকল কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সাথে পরামর্শ ও নির্দেশনা চাইছেন। জেলা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটি আরো বৃহৎ আকারে করোনা সংকট মোকাবেলায় জরুরি ভিত্তিতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্বস্ত একটি সুত্র।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ৩০ এপ্রিল মোট ১২০ জনের স্যাম্পল টেস্টের মধ্যে বাকী ১০৩ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ পাওয়া যায়।
গত ২ এপ্রিল কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে শুরু হওয়া টেস্টে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ১২৪৫ জনের স্যাম্পল টেস্ট করা হয়। তারমধ্যে, ৪২ জনের রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ পাওয়া যায়। অবশিষ্ট ১২০৩ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ পাওয়া গেছে। ৪২ জন ‘পজেটিভ’ পাওয়া রোগীর মধ্যে ৩৬ জন কক্সবাজার জেলায় এবং ৫ জন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ও একজন বান্দরবান সদর উপজেলার বাসিন্দা।
গত ২৪ মার্চ সনাক্ত হওয়া কক্সবাজার জেলার প্রথম করোনা রোগী খুটাখালীর মুসলিমা খাতুনের শরীরের স্যাম্পল টেস্ট করা হয়েছিলো ঢাকার আইইডিসিআর ল্যাবে। তিনি সুস্থ হয়ে গত ৮ এপ্রিল বাড়িতে ফিরেছেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-