করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। গণপরিবহণ চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সামাজিক ও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে বাংলাদেশ সরকার।
সাধারণ মানুষের অপ্রয়োজনে চলাফেরা রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বেসামরিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
তবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরি করা শত শত এনজিওকর্মীরা অবাধে চলাফেরা করে উখিয়ার বিভিন্ন স্টেশনে বাজারে।
সম্প্রতি ব্যাপক হারে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া জেলা নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকেও অসংখ্য এনজিওকর্মী উখিয়ায় অবস্থান নিয়েছে বলে জানা যায়।এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে রয়েছে উখিয়া উপজেলা প্রশাসন।
গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ থাকলেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কমিশনের অনুমতি নিয়ে অবাধে চলাচল করছে এনজিওকর্মী পরিবহণ।তাছাড়া এসব কর্মরত এনজিওকর্মীরা অধিকাংশ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত।
সকাল বিকাল উখিয়ার বিভিন্ন স্টেশনে বাজারে তাদের উন্মুক্ত চলাফেরা লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত স্থানীয় চাকুরীজীবীরাও প্রতিদিন ক্যাম্পে আসা যাওয়া অব্যাহত রেখেছে।তারা তাদের নিজেদের এলাকায়ও অবাধে চলাফেরা করছে।মানছেনা হোম কোয়ারেন্টাইন।
তারা প্রতিনিয়ত মেলামেশা,আড্ডা অব্যাহত রেখেছে।ফলে স্থানীয় সচেতন মহলের মাঝে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
সচেতন মহলের মতে,ক্যাম্পে চাকুরীরত এসব স্থানীয়রা প্রতিদিন বিভিন্ন মানুষের সাথে মেলামেশা করতেছে এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে চাকরি কার্যক্রম সম্পন্ন করে গ্রামে এসে অবাধে চলাফেরা করছে। যার ফলে বরাবরের মতোই ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
তবে প্রতিনিয়ত ক্যাম্পে আসা যাওয়া করা এসব স্থানীয় চাকুরীজীবিদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা না গেলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে জানান স্থানীয়রা।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-