ডেস্ক রিপোর্ট ◑ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বিয়ে ভেঙে দিয়ে বর-কনেকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার (৩ এপ্রিল) সকালে উপজেলার ফাঁড়ি রঘনাথপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লুবনা ফারজানা এ জরিমানা করেন।
বর মসিউর রহমান বগুড়ার সোনাতলা এলাকার মৃত মনিরুজ্জামানের ছেলে। তিনি পেশায় পল্লী চিকিৎসক। আর কনে তানভির আক্তার ভৈরব উপজেলার ফাঁড়ি রঘনাথপুর গ্রামের সোলেমান মিয়ার মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মসিউর রহমানের সঙ্গে তানভির আক্তার দীর্ঘদিন যাবত ফেসবুকে চ্যাট করে প্রেম করে আসছিলেন। বিষয়টি তানভির আক্তার তার মা-বাবাকে জানালে তারা কয়েকদিন আগে বগুড়ায় মসিউরের বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে উভয়পক্ষের পছন্দ ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী ভোরে বগুড়া থেকে ১৬ জন বরযাত্রী মাইক্রোবাস নিয়ে বেলা ১১টায় ভৈরবে কনের বাড়িতে পৌঁছেন।
এদিকে গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকার রোকসানা বেগম নামে এক কলেজছাত্রী বিয়ের খবর পেয়ে ভৈরবে কনের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বর মসিউর রহমানকে তার স্বামী বলে দাবি করেন। এ সময় মসিউর তা অস্বীকার করেন। পরে কনের বাড়ির লোকজন রোকসানাকে মারধর করেন এবং বর মসিউর রহমানের আনা ৫ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ৫০ হাজার টাকা জোর করে রেখে দেন।
এনিয়ে বাড়িতে হৈ-চৈ শুরু হলে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ঘটনা শুনার পর ইউএনও লুবনা ফারজানাকে বিষয়টি অবগত করেন। এরপর ইউএনও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয়পক্ষের কথা শুনে তাদের জরিমানা করেন। এ সময় বিয়ের আয়োজন ভেঙে দিয়ে বরের আনা স্বর্ণালংকার ও ৫০ হাজার টাকা কনেপক্ষের কাছ থেকে আদায় করে ফেরত দেয়া হয়।
অপরদিকে ঘটনার সময় রোকসানা বেগম তার দাবি অনুযায়ী মসিউরের সঙ্গে বিয়ের কোনো কাবিননামা দেখাতে পারেননি বলে তাকে বিদায় করে দেয়া হয়।
ভৈরব থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে এসব কাণ্ড দেখে ইউএনওকে বিষয়টি জানানো হয়। পরে তিনি ঘটনাস্থলে এসে দুই পক্ষকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করে বিয়ে বন্ধ করে দেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-