বিশেষ প্রতিবেদক ◑
করোনার সক্রমণ রোধ ও করণীয় নির্ধারণ করতে মঙ্গলবার (৩১মার্চ) দেশের ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উক্ত কনফারেন্সে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাইরের লোকের আসা যাওয়ার বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেন তিনি।
অথচ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আমলে নেয়নি কোন এনজিও সংস্থা। বুধবার (১ এপ্রিল) প্রায় কয়েকশত এনজিও সংস্থার গাড়ি লাইন ধরে ক্যাম্পে যাওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ে।
উখিয়া উপজেলার কোটবাজার স্টেশনে ক্যাম্পমুখী শত শত গাড়ি যাওয়ার দৃশ্য ক্যামরাবন্দি করেন কক্সবাজার রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি রাসেল চৌধুরী। এনজিও সংস্থার গাড়ি দাড়িয়ে আছে এমন কয়েকটি ছবি নিজের ভেরিফাইড ফেইসবুকে আপলোভ করেন তিনি। আর মুহূর্তেই তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
সাংবাদিক রাসেল চৌধুরী বলেন, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী কঠোর নির্দেশনা দিয়েছিলো রোহিঙ্গা ক্যাম্প নিয়ে। কিন্তু কেউ সে কথা আমলে নিয়েছে বলে মনে হয়নি। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত এক সাপ্তহে ধরে বিনা প্রয়োজনে এনজিও কর্মীদের যাতায়াত শীতিল ছিলো। কিন্তু হঠাৎ বুধবার সকাল থেকে ক্যাম্পে ডুকছে শত শত এনজিও কর্মীদের গাড়ির বহর। তাদের গাড়ির বহরে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। গাড়িতে বিদেশিসহ হাজারোও এনজিও কর্মী গিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়ার উপজেলা চেয়ারম্যান হামিদুল হক চৌধুরী।
তিনি বলেন, বর্তমানে চিকিৎসার জন্য আমি চট্রগ্রামে অবস্থান করছি।
বুধবার সকাল থেকে আমাকে অনেকেই ফোন করে বলছে বিদেশিসহ শত শত এনজিও কর্মী ক্যাম্পে এসেছে। তিনি সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রাখেন প্রাধানমন্ত্রীর আদেশ অমান্য করতে হঠাৎ এ আয়োজন কি না?
উখিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও নিকারুজ্জামান বলেন, আমি ত্রাণ কার্যক্রম নিয়ে ব্যাস্ত থাকায় এখনো ক্যাম্পের দিকে যায়নি। তবে অনেকই আমাকে দেশিবিদেশি এনজিকর্মী ক্যাম্পে এসেছে সেটা অবগত করেছেন। অনেকে তাদের ছবিও পাঠিয়েছেন।
তিনি বলেন, তাদের যাতায়াতে বিধিনিষেধ তুলে ফেলা হয়েছে কি না সেটা বলতে পারবে শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন। কারন তাদের দেখভাল করার দায়িত্ব আরআরআরসি’র। তবে করোনা ভাইরাস উপরিস্থির শুরু থেকে জরুরী সেবা ছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অন্য সেবাগুলো বন্ধ রয়েছে। এরপরও কেউ যদি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অমান্য করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে প্রশাসন।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মাহাবুব আলম তালুকদারের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করা হলেও ফোন রিসভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
অতিরিক্ত শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ক্যাম্পে এনজিও কর্মী যাচ্ছে সেটি শুনেছি। তবে স্যারের সঙ্গে আলাপ করে বিস্তারিত বলতে পারবো।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে কক্সবাজার জেলাপ্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসভ করেননি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-