অনলাইন ডেস্ক ◑ শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি পেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
সরকারের নির্বাহী আদেশে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে বুধবার বেলা ৩টার পর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে এক পর্যায়ে তাকে এই হাসপাতালে নেওয়া হয়; গত বছরের এপ্রিল থেকে সেখানেই ছিলেন তিনি।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তার দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত করে দেওয়া মুক্তির আদেশের কাগজপত্র প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কারা কর্তৃপক্ষের হাত ঘুরে হাসপাতালে। পরে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, দলের চেয়ারপারসনকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল থেকে তার গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ নিয়ে যেতে আগে থেকে প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যেতে হয় খালেদা জিয়া।
শুরুতে পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হলেও গত বছর ১ এপ্রিল থেকে কারা তত্ত্বাবধানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেখে ৭৫ বছর বয়সী এই নেত্রীকে চিকিৎসা দেওয়া শুরু হয়।
এর আগে মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের জানান, বয়স বিবেচনায় ও মানবিক কারণে সাজা ছয় মাস স্থগিত রেখে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মুক্তির শর্ত হলো, এ সময়ের মধ্যে তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে পারবেন।
আইনমন্ত্রী আরও জানান, খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার, বোন সেলিমা ইসলাম ও বোনের স্বামী রফিকুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একই বিষয়ে সাক্ষাৎ করেছিলেন। সেখানে খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদনের ব্যাপারে কথা বলেন তারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-