এ কে এম ইকবাল ফারুক,চকরিয়া ◑
কক্সবাজারের চকরিয়ায় সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্রদের জন্য ১০ টাকা দরে চাল বিতরণ কর্মসূচিতে ব্যাপাক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্যের কারসাজিতে সুবিধাভোগী ১৯ জনকে ব্যক্তিকে মৃত এবং ১৩জন ব্যক্তিকে আর্থিক স্বচ্ছল দেখিয়ে তালিকা প্রস্তুত করে বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ায় অনেক সুবিধাভোগী ব্যক্তি ১০ টাকার চাল কিনতে না পেরে খালি হাতে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছে।
ফলে বিষয়টি নিয়ে এলাকার সুবিধা বঞ্চিত হতদরিদ্র লোকজন স্থাণীয় ইউপি সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের বিচার চেয়ে এলাকায় বিক্ষোভ করেছে। মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) দুপুরে উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উপর পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ভুক্তভোগী ছৈয়দুল হক, মো. ইব্রাহিম ও একরামুল হক বলেন, গত ৩ বছর ধরে আমরা ১৩৩ হতদরিদ্র পরিবার বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে সরকারের দেয়া ১০ টাকা দামের চাল ক্রয়ের সুবিধা পেয়ে আসছি।
কিন্তু স্থানীয় ইউপি সদস্য রেজাউল করিম উক্ত তালিকা সংশোধন করে সুবিধাভোগী ১৯ জীবিত ব্যক্তিতে মৃত এবং ১৩ ব্যক্তিকে আর্থিক স্বচ্ছল দেখিয়ে তালিকা প্রণয়ন করেন।
গত সোমবার সকালে সুবিধাভোগীরা ১০টাকা দামের চাল কিনতে গেলে ডিলারের পক্ষ থেকে তাদের কার্ডগুলো ফেরত নিয়ে নেয়া হয়। বিষয়টির ব্যাপারে সুবিধাভোগী লোকজন জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ডিলার বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্যের নতুন তালিকায় মৃত ও স্বচ্ছল দেখিয়ে তাদের নাম বাদ দেয়া হয়েছে। ভুক্তভোগীরা আরও অভিযোগ করেন, ইউপি সদস্য রেজাউল করিমের বড় ভাই এনামুল হক পার্বত্য লামা উপজেলার বাসিন্দা হলেও সুবিধাভোগী হতদরিদ্রের তালিকায় তার নাম রয়েছে।
স্থাণীয় বরইতলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মাস্টার বেলাল আহমদ বলেন, বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও যুবদল নেতা রেজাউল করিম স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে জীবিত ব্যক্তিদের মৃত ও অস্বচ্ছল ব্যক্তিদের আর্থিক স্বচ্ছল দেখিয়ে কাটছাটের মাধ্যমে নতুন করে একটি তালিকা প্রস্তুত করেছেন। পরবর্তীতে ওই তালিকায় যাদের নাম দেওয়া হয়েছে তাদের অধিকাংশই ইউপি সদস্য রেজাইল করিমের আত্মীয়-স্বজন। ফলে বিষয়টি নিয়ে সুবিধা বঞ্চিত লোকজন ও স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ বলেন, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবেই ইউপি সদস্য রেজাউল করিম পূর্বের তালিকায় থাকা সরকারী দলের সমর্থকদের নাম বাদ দিয়ে তার আতী্ময়-স্বজনকে হতদ্ররিদ্রের তালিকাভুক্ত করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বলেন, তালিকায় কিভাবে জীবিতদের মৃত দেখানো হয়েছে তা আমি জানিনা। বিষয়টি ইউপি সচিব নুরুল আলমই ভালভাবে জানবেন। তিনি আরও বলেন, আমার ভাই এনামুল হক অন্য এলাকার ভোটার হলেও তিনি বরইতলী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাস করেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-