শফিক উল্লাহ ◑
আতাউর রহমান নামে ছয় বছর বয়সী এক রোহিঙ্গা শিশু গত ০৮ মার্চ (রবিবার) কক্সবাজারের উখিয়ার অন্তর্গত কুতুপালংয়ের লম্বাসিয়ায় অবস্থিত ক্যাম্প- ১ডব্লিউ এর ব্লক ডি থেকে অপহৃত হয়।
অপহরণকারীরা শিশুটির বাবা মো: জাহিদ হোসেনের কাছে মুক্তিপণ দুই লক্ষ টাকা দাবি করে। মো: জাহিদ হোসেন তার বাচ্চাকে সুস্থ অবস্থায় ফিরে পাওয়ার জন্য ১০ মার্চ (মঙ্গলবার) কুতুপালংয়ের লম্বাসিয়ায় অবস্থিত মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রামের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেল (ও.সি.সি.) এর শরণাপন্ন হয়।
পরবর্তীতে ও.সি.সি.-র একটি টিম কক্সবাজার সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা মো: বেলালের সহযোগিতায় কক্সবাজারের পাহাড়তলীর বৌবাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে বাচ্চাটিকে গত ১১ মার্চ বুধবার রাতে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে ও.সি.সি. টিম এবং সেই রাতে বাচ্চাটিকে কক্সবাজার ও.সি.সি.-র সেফ স্পেসে রাখা হয়। অপহরণকারী দলের মূল হোতা মোছা: সেনোয়ারাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মোছা: সেনোয়ারা ইয়াবা এবং মানব পাচারের সাথে জড়িত বলেও জানা যায়।
১২ মার্চ বৃহস্পতিবার ক্যাম্প- ১ডব্লিউ সহকারী ক্যাম্প-ইন-চার্জ (সি.আই.সি) উপস্থিতিতে বাচ্চাটিকে তার পিতা মাতার নিকট হস্তান্তর করা হয়। বাচ্চাটির পরিবারের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১৩ মার্চ শুক্রবার ও.সি.সি. র একটি টিম সারাদিনব্যাপী বাচ্চাটির পরিবারকে সুরক্ষা প্রদান করে এবং পরবর্তীতে যেকোনো ধরনের সমস্যা মোবাবেলায় ও.সি.সি. টিম সর্বদায় পাশে থাকার প্রতিশ্রæতি জানায়। শিশু সুরক্ষাসহ, পজেটিভ প্যারেন্টিং ও শিশুদের বিরুদ্ধে যে কোন ধরনের যৌন বা সহিংসতার ক্ষেত্রে অবদান রেখে যাচ্ছে এই ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেল (ও.সি.সি) এবং সেন্টার।
ও.সি.সি. এর কর্মকর্তাবৃন্দ তাই এক্ষেত্রে অপহরণ ও পাচারের বিরুদ্ধে সকলের অবস্থান দৃঢ় করার জন্য আহবান জানান। যে কোন ধরনের পাচার বা নির্যাতন সংক্রান্ত ঘটনার জন্য ১০৯ ন্যাশনাল হেল্প লাইন (টোল ফ্রি) কল করার পরামর্শ প্রদান করেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-