বার্তা পরিবেশক : গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন অনলাইন,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় হ্নীলার কলেজ ছাত্র করিমকে জড়িয়ে বিভিন্ন শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যা স্থানীয় ভিলেজ পলিটিক্স ও ছাত্র রাজনীতির জেরধরে ষড়যন্ত্রমুলকভাবে মাদক বিরোধী অভিযানের কবলে ফেলে হয়রানির চেষ্টা মাত্র।
করিম আমার পরিবারের ছোট এবং অতি আদরের ছেলে হন। আমি যৌবনকাল হতে দীর্ঘ ১৩ বছর সৌদিয়া প্রবাস জীবন কাটিয়ে টাকা-পয়সা আয় করে ছেলে-মেয়েদের মানুষ করার চেষ্টা চালিয়ে আসছি। এখনো দুই ছেলে সৌদিতে রয়েছে। হাইস্কুলে লেখা-পড়ার সুযোগে বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে মোটর সাইকেল গাড়ি চালানোয় জড়িয়ে পড়ে করিম। সে সবার ছোট বিধায় তার আবদার রক্ষার জন্য একটি মোটর সাইকেল কিনে দিই যাতে সে স্কুলে সহজে আসা-যাওয়া করতে পারে। এখন হাইস্কুলের গন্ডি পেরিয়ে কলেজে পা দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে পড়াশোনা করছে। এই গাড়ি নিয়ে কক্সবাজার শহরের কলেজে আসা-যাওয়ার পথে বহিরাগতরা স্থানীয়দের নিকট নানাভাবে হয়রানির সম্মুখীন হয়ে আসছে। এই অপপ্রচার উক্ত ষড়যন্ত্রের অংশ-বিশেষ বলে মনে করি। এরই মধ্যে কার সাথে কোন ধরনের আচরণে এই জাতীয় ঘটনার সুত্রপাত তাও ভেবে পাচ্ছিনা।
এলাকায় মাদক সংশ্লিষ্ট ছেলেদের সাথে মেলা-মেশার খবর পেয়ে আমি ছেলেদের কঠোরভাবে শাসন করে নিয়ন্ত্রণে রাখি। আমার জানামতে এলাকায় কোন অপরাধের সাথে জড়াতে দেয়নি। তবুও গ্রাম্য রাজনীতির কারণে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে আমার ছেলেদের অপরাধী সাজানোর জন্য বেশ ক’বার চেষ্টা চালানো হয়েছিল। ইনশল্লাহ আল্লাহর রহমতে ষড়যন্ত্র করে কেউ টিকতে পারেনি। তবুও আমি পিতা হিসেবে কঠোর শাসনের মধ্যে রেখেছি। আগামীতেও রাখব ইনশল্লাহ। আমার ছেলের কারণে মিডিয়ার যাতাকলে পড়ে স্কুল-কলেজে অধ্যয়নরত অন্য কোন ছেলের নাম সুনাম ক্ষুন্ন হোক তাও চাইনা। এই ব্যাপারে সাংবাদিক ভাইদের আন্তরিক সহায়তা কামনা করছি।
আমি সমাজের দর্পণ ও জাতির বিবেক সংবাদকর্মী ভাইদের সাথে আমার পরিবারের কারো সাথে কোন ধরনের অসৌজন্যমূলক আচরণ হয়ে থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহবান জানিয়ে প্রকৃত ঘটনা যাচাই-বাচাই করে দেখার জন্য আইন-শৃংখলা বাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।
নিবেদক :
হাজী মোহাম্মদ সেলিম
বৃটিশ পাড়া
জাদিমোরা, হ্নীলা।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-