আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদত করার জন্য এবং পৃথিবীতে তাঁর বিধান কায়েম করার জন্য। এ লক্ষ্যে মানবতার সঠিক পথের দিশারী হিসাবে এক লক্ষ চব্বিশ হাজার নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন। তাঁরা যুগে যুগে মানুষকে সত্য-সুন্দরের পথ, কল্যাণের পথ, হেদায়াতের পথ প্রদর্শন করেছেন। সে পথে মানুষকে পরিচালনার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। কিন্তু মানুষ শয়তানের প্ররোচনায় ও তার কুমন্ত্রণায় সত্যের পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে। কখনো বা এ পথে মানুষ যাতে আসতে না পারে সেজন্য বাধা সৃষ্টি করেছে।
ফলে ঐসব মানুষও শয়তানের ন্যায় অভিশপ্ত হয়েছে, জান্নাতের পরিবর্তে জাহান্নামের কীটে পরিণত হয়েছে। বিশ্ব মুসলিমের নির্যাতন-অত্যাচার নিয়ে আলোচনা।
কেবল পূর্ববর্তী উম্মতের ক্ষেত্রেই নয়; বরং ইসলামের সূচনালগ্ন থেকেও শয়তানের ঐ প্ররোচনা অব্যাহত আছে। বদর যুদ্ধের সময় ইবলীস সুরাকা বিন মালেক বিন জুশুম মুদলিজীর আকৃতিতে এসে মুশরিকদের যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে প্ররোচিত করেছিল এবং সে মুশরিকদের সাথেই ছিল। কিন্তু যখন সে মুশরিকদের বিরুদ্ধে ফিরিশতাদের ভূমিকা প্রত্যক্ষ করল, তখন সে পিছনে ফিরে পলায়ন করতে থাকল। এ সময় হারেছ বিন হিশাম তাকে আটকিয়ে রাখার চেষ্টা করল। তখন ইবলীস তার বুকে সজোরে ঘুষি মারলে হারেছ মাটিতে পড়ে যায় এবং এই সুযোগে ইবলীস পলায়ন করে। মুশরিকরা তখন বলতে লাগল যে, সুরাকা কোথায় যাচ্ছ? তুমি কি বলনি যে, তুমি আমাদের সাহায্য করবে এবং কখনই আমাদের থেকে পৃথক হবে না? সে বলল, ‘আমি যা দেখছি, তোমরা তা দেখতে পাচ্ছ না। আমি আল্লাহ্কে ভয় করি। তিনি শাস্তি দানে কঠোর’ [আনফাল ৮/৪৮]। এরপর শয়তান পলায়ন করে সমুদ্রের ভিতরে চলে যেতে থাকে (আর-রহীকুল মাখতূম, অনুবাদ: আবদুল খালেক রহমানী ও মুয়ীনুদ্দীন আহমাদ (ঢাকা : তাওহীদ পাবলিকেশন্স, ২০০৯), পৃঃ ২৫৮)।
ফেরাঊনীরা তাদের পশ্চাদ্ধাবন না করে এবং তারা কোনরূপ সন্দেহ না করে, সেজন্য (মূসার অলক্ষ্যে) বনু ইসরাঈল প্রতিবেশী ক্বিবতীদের কাছ থেকে অলংকারাদি ধার নেয় এই বলে যে, আমরা সবাই ঈদ উৎসব পালনের জন্য যাচ্ছি। দু’একদিনের মধ্যে ফিরে এসেই তোমাদের সব অলংকার ফেরৎ দিব। কিন্তু সাগর পার হওয়ার পর যখন আর ফিরে যাওয়া হল না, তখন কুটবুদ্ধি সম্পন্ন মুনাফিক সামেরী মনে মনে এক ফন্দি আটল যে, এর দ্বারা সে বনু ইসরাঈলকে পথভ্রষ্ট করবে। ফলে মূসা (আঃ) তাঁর সম্প্রদায়কে হারুনের দায়িত্বে রেখে তিনি আগেভাগে তূর পাহাড়ে চলে গেলে সামেরী সুযোগ বুঝে তার ফন্দি কাজে লাগায়। সাগর ডুবি থেকে নাজাত লাভের সময় চতুর সামেরী জিবরাঈলের অবতরণ ও তাঁর ঘোড়ার প্রতি লক্ষ্য করে দেখল যে, জিবরাঈল ঘোড়ার পা যে মাটিতে পড়ছে, সে স্থানের মাটি সজীব হয়ে উঠছে ও তাতে জীবনের স্পন্দন জেগে উঠছে। তাই সবার অলক্ষ্যে এ পদচিহ্নের এক মুঠো মাটি সে তুলে সযতনে রেখে দেয়।
দ্বীনের পথে বাধা সৃষ্টি করা শয়তানী কাজ: দ্বীনের পথে বাধা, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা মূলতঃ শয়তানী কাজ। মানব সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকে শয়তান এ কাজ করে আসছে। প্রথম মানব ও প্রথম নবী আদম (আঃ) থেকে অদ্যাবধি শয়তানের এ কাজ অব্যাহত আছে। শয়তানের সাথে সাথে কিছু মানুষও দ্বীনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আল্লাহ বলেন, শয়তান তো চায় মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চারিত করে দিতে এবং আল্লাহর স্মরণ ও সালাত থেকে তোমাদের বিরত রাখতে। অতএব তোমরা এখনও কি নিবৃত্ত হবে?’ [মায়েদাহ ৫/৯১]।
আল্লাহর পথে বাধা দান ইহুদী-নাছারাদের কাজ: আল্লাহর দ্বীনে বাধা দেওয়া ইহুদী-নাছারাদের কাজ। তারা একদিকে নবী-রাসূলগণকে অস্বীকার করতো, অপরদিকে কেউ কেউ আল্লাহর দ্বীনের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতো। মহান আল্লাহ বলেন: ‘বলুন, হে কিতাবধারীগণ! কেন তোমরা আল্লাহর পথে ঈমানদারদেরকে বাধা দান কর, তোমরা তাদের দ্বীনের মধ্যে বক্রতা অনুপ্রবেশ করানোর পন্থা অনুসন্ধান কর, অথচ তোমরা এ পথের সত্যতা প্রত্যক্ষ করছ। বস্তুতঃ আল্লাহ তোমাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অনবগত নন’ [আলে-ইমরান ৩/৯৯]।
দ্বীনের পথে বাধা দানকারী ব্যর্থ ও পরাজিত: দ্বীনের পথে বাধা দানকারীরা যতই কৌশল অবলম্বন করুক, তারা যতই প্রভাবশালী হোক, এক সময় ব্যর্থতার গ্লানি তাদের বরণ করতে হবে। পরাজয়ের মালা তাদের গলায় পরতেই হবে। এটা মহান আল্লাহর ঘোষণা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: ‘যারা কুফরী করে এবং আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করে, আল্লাহ তাদের সকল কর্ম ব্যর্থ করে দেন’ [মুহাম্মাদ ৪৭/১]। অন্যত্র তিনি বলেন: ‘নিশ্চয়ই যারা কাফের এবং আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে ফিরিয়ে রাখে এবং নিজেদের জন্য সৎ পথ ব্যক্ত হওয়ার পর রাসূলের বিরোধিতা করে, তারা আল্লাহর কোনই ক্ষতি করতে পারবে না এবং তিনি ব্যর্থ করে দিবেন তাদের কর্মসমূহকে’ [মুহাম্মাদ ৪৭/৩২]।
কে তুমি মোদী ইসলামের ইবাদত ঘর মসজিদে আগুণ দেবার। এত স্পর্ধা পেয়েছো কোথায়? সামন্য চা বিক্রেতা মোদী তোমার জ্ঞান বা আছে কি? শুধু কিভাবে চা বিক্রি করতে হয় তাই বা জানো। কে বলেছে রাষ্ট্র পরিচালনায় বসতে। ধিক্কার জানায় তোমাকে। যেখানে মানুষ নিরাপদ নয়। তুমি ধর্মের লীলা খেলায় মেতে উঠো না তোমার পূর্বে অনেকে ধ্বংস হয়েছে। তাই বলি তুমি অন্য ধর্মের উপর আঘাত হানতে পারো না। সহিংসতায় লিপ্ত হয়ো না পরিণতি ভয়াবহ হবে। তুমি ইতিহাস দেখো তোমার পূর্বে বহু গাদ্দার চলে গেছে। ইসলাম ধর্মের কোন ক্ষতি করতে পারে নাই। সুতরাং তুমিও পারবে না। এটি একদিনে বা কোন মানুষের পূজারী অনুসারে করা ধর্ম নয়। এটি স্বয়ং আল্লাহ প্রদত্ত। এটির হেফাজতকারী স্বয়ং আল্লাহ। যিনি সর্বশক্তি ক্ষমতাধর। ইসলাম ধর্মের প্রতি বদনজর দিয়েছে তারা সবাই যুগে যুগে ধ্বংস হয়েছে। তোমার ও পতন হবে খুব নিকৃষ্টভাবে। সাম্প্রতিক ঘটনা চীনের প্রতি নজর দাও, দ্রুত তুমি শোধরে যাও। অন্যাথায় খুব বিপদ অপেক্ষা করছে।
সর্বকালের সর্বমানব অবিসংবাদিত নেতা হযরত মোহাম্মদ (স) ইসলমের ঝান্ডা জমিনে পুতে দিয়ে গেলেন যা কেউ কখনো অপশক্তি দিয়ে মুছতে পারবে না। যেহেতু ইসলাম ধর্মের হেফাজতকারী স্বয়ং আল্লাহ।
আমার লেখাটির জন্য আমি মোটেও ভীতু নয়। কিছুদিন আগে রাষ্ট্র নিয়ে একটা স্ট্যাটাস লিখে বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার খুন হয়েছিল। আর আমি ঈমানী মনোবল নিয়ে নিকৃষ্ট ও খুব নগণ্য শব্দ ব্যবহার করেছি। তাতে অনেকের গা জ্বলতে পারে বিধায় দুঃপ্রকাশ করছি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-