ডেস্ক রিপোর্ট ◑ কক্সবাজার এল এ শাখায় অন্তত ৯০ জন দালাল সক্রিয় রয়েছে। এরাই কমিশন বাণিজ্য করতে সুযোগ করে দিচ্ছেন সার্ভেয়ারদের। নির্ভেজাল জমিতেও ভুয়া মামলা এনে জমির মালিকদের হয়রানি করে যাচ্ছে এ সব দালাল চক্র।
ভুয়া খতিয়ান সৃজন করে পথে বসিয়েছে অসংখ্য জামির মালিককে। তাই দালালদের চিহ্নিত করতে ২০১৭ সালে প্রকাশিত তালিকা হালনাগাদ করার দাবী জানিয়েছেন জমির মালিকরা।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৭ সালের ১ এপ্রিল দৈনিক কক্সবাজারে এলএ শাখায় দালালের দৌরাত্ম্য নিয়ে একটি তথ্য বহুল সংবাদ প্রকাশিত হয়।
ওই সংবাদের সুত্র ধরে তৎকালীন ভুমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা আবু সালাম এর স্বাক্ষরে ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল ৩৮ জন দালালের তালিকা বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হয়। ওই তালিকায় যাদের নাম ছিল তারা হলেন মোঃ রফিক প্রকাশ ভেন্ডার রফিক, সাহাব উদ্দিন, সানা উল্লাহ, রনি, হেলাল, ফজল কাদের, আমির খলিফা, আলি মিয়া, বাবর চৌধুরী, শাহাদত হোসাইন, ছৈয়দ নুর, আবুল কাশেম, মৌলভী বশর, নুরুল আবচার, হাজি ফরিদ, মো.মামুন, হেলাল উদ্দিন, মোস্তাফিজ, হোছাইন, আরেফ আলী, আবুল হাশেম, সাদ্দাম হোসাইন, হাজী ছৈয়দ, নুরুল আবছার, শফিক, আমান উল্লাহ, মো. ইব্রাহিম, সোহেল, আবদুল মতিন, আছাদ উল্লাহ, মৌঃ হাবিবুর রহমান, রিদুয়ান, সরওয়ার, দিদার, চট্টগ্রামের মুছা, ঢাকার মিঠুন, আহাদ, উখিয়ার হেলাল উদ্দিন ও বশর। প্রকাশিত দালালের তালিকা থেকে কয়েকজন জেল হাজতে ও কয়েকজন অন্যত্র চলে গেছেন। এ সব দালালের মধ্যে ২৩ কোটি টাকা লোপাটে জড়িত দালালও রয়েছে। পরবর্তিতে প্রকাশিত তালিকার কয়েকজন দালালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত বছর থেকে মাতারবাড়ি প্রকল্প ছাড়াও রেল লাইন প্রকল্প ও মহেশখালীর কালারমারছড়া এবং হোয়ানকে জমি অধিগ্রহন শুরু হলে দালালের সংখ্যা বেড়ে যায়। এল এ শাখা কেন্দ্রিক দালালিতে জড়িয়ে পড়ে অন্তত ২৫/৩০ জন পেশাজীবী।
যারা নিজেদের পেশা ছেড়ে দিয়েছে এল এ শাখায় দালালি করার জন্য। নতুন দালালদের মধ্যে তৎপর রয়েছে কালারমরাছড়া সোনার পাড়ার জালাল উদ্দিন, চিকনী পাড়ার জাফর আলম, নুরুল ইসলাম বাহাদুর, শাপলাপুর ইউনিয়নের সেলিম, হোয়ানকের ইব্রাহিম (হোটেল গার্ডেনে অফিস), মাতারবাড়ি রাজঘাটের হেলাল, শাপলাপুরের দিদারুল আলম (হোটেল নিরিবিলিতে অফিস), কালারমারছড়া ইউনিয়নের ছমিরাঘোনার আব্দুল হান্নান, ফকিরজুম পাড়ার মামুন, আধাঁরঘোনার মৃত সিকদার মিয়ার পুত্র আমান উল্লাহ, মৃত নজির আহমদের পুত্র আবুল হোসেন, মৃত দৌলত মিয়ার পুত্র বাদল, কালারমারছড়ার নুনাছড়ি এলাকার লকিয়ত উল্লাহ, মাতারবাড়ির হোছাইন (অফিস হোটেল নিরিবিলি), ধলঘাটা ইউনিয়নের তাজ উদ্দিন (হোটেল সৈয়দিয়ায় অফিস), পেশকারপাড়া এলাকার মো. মুবিন ওরফে উত্তরবঙ্গের মুবিন, মাতারবাড়ি ইউনিয়নের সাগর, ডুলাহাজারার বালুর চরের মিনহাজ, টার্মিনাল এলাকার হানিফ, সুগন্ধা পয়েন্টের ওয়াসিম, ঈদগাঁও এলাকার মো. তৈয়ব, রশিদ নগর ইউনিয়নের মো. শাহজাহান, ধলঘাটার মো. শফিউল আলম (গাড়ির মাঠ), শহরের কলাতলী এলাকার সাজ্জাদ প্রমুখ। চলমান অভিযান থেকে বাঁচতে তারা প্রত্যেকেই গা ঢাকা দিয়েছে।
এ সব দালালের মধ্যে ভয়ংকর খতিয়ান জালিয়াতিতে জড়িত ডুলাহাজারার মিনহাজ। এই চক্র খতিয়ান জালিয়তি করে ইতোমধ্যে অসংখ্য জমির মালিককে পথে বসিয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন জানান, দালালের খপ্পরে না পড়ার জন্য বার-বার সবাইকে বলা হচ্ছে। যেকোন অভিযোগ তাৎক্ষণিক নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। সরকারী অফিস মানুষের সেবার জন্য। হয়রানী বা অনিয়ম কোন ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। কেউ অভিযোগ করলে তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। /দৈনিক কক্সবাজার
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-