শ্রীলংকার বিপক্ষে ২০১৮ সালের শুরুতে দারুণ এক সিরিজ খেলেছিলেন মুমিনুল হক। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এক টেস্টের দুই ইনিংসেই করেছিলেন সেঞ্চুরি। সর্বোচ্চ ছিল ১৭৬ রান। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর খারাপ যায় তার। তবে ঘরের মাঠে পরের ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং জিম্বাবুয়ে সিরিজে আবার সেঞ্চুরি করেন তিনি।
এরপরই যেন বিবর্ণ মুমিনুল হক। নিউজিল্যান্ড সফরে চার ইনিংসে করতে পারেন মাত্র ১৫ রান। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এক টেস্টে একটি ফিফটিসহ করেন ৫৫ রান। এরপর নেতৃত্ব পেয়ে ভারতের বিপক্ষেও বিবর্ণ আরও মিউয়ে যান মুমিনুল। দুই টেস্টেই দল ইনিংস ব্যবধানে হারে। মুমিনুলের ব্যাট থেকে চার ইনিংসে আসে ৪৪ রান। সর্বোচ্চ ৩৭। পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ইনিংসে করেন ৭১ রান।
মুমিনুলকে তাই ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়াতে হতো। তার দলকেও। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের একমাত্র টেস্টে কথা মতো মুমিনুল এবং তার দল ঘুরে দাঁড়িয়েছে। মুমিনুল হক ১২ ইনিংস পরে পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। আর অধিনায়ক হিসেবে করেছেন প্রথম সেঞ্চুরি। ক্যারিয়ারে তামিমের সমান নয়টি সেঞ্চুরিও পেয়ে গেছেন তিনি।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মুমিনুল হক ১১৫ রান করে ব্যাট করছেন। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কতৃত্ব করছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংস থেকে পেয়ে গেছে তিনশ’ ছাড়ানো সংগ্রহ। বাংলাদেশ দল মুশফিক এবং মুমিনুলের ব্যাটে লিডও নিয়েছে। মুশফিকুর রহিমও সেঞ্চুরি লক্ষ্য ধরে ব্যাট করছেন।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই সিরিজের আগে তার দলের কেউ বড় ইনিংস খেলবে বলে কথা দিয়েছিলেন মুমিনুল। নাজমুল শান্ত দারুণ ব্যাটিং করলেও ৭১ রানে আউট হয়ে ফেরেন। তামিমও প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হন। খেলেন ৪১ রানের ইনিংস। মুমিনুল তাই সেঞ্চুরি করে কথা রেখেছেন। এখন ইনিংসটা আরও বড় করার পালা। মুমিনুল যে দুইশ’, তিনশ’ রানের কথাও বলেছিলেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-