- দালাল চক্রের সদস্যরা ফের সক্রিয়!
গিয়াস উদ্দিন ভূলু, কক্সবাজার জার্নাল ◑
টেকনাফ উপকুলীয় এলাকা ব্যবহার করে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এই চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন আড়ালে থাকার পর প্রশাসনের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে তারা টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্ট ব্যবহার করে অবৈধ পথে ঘৃণ্য মানবপাচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সেই সূত্র ধরে ১১ ফেব্রুয়ারী সকালের দিকে সেন্টমার্টিনের অদুরে গভীর বঙ্গোপসাগরে রোহিঙ্গা বোঝাই একটি মালয়েশিয়াগামী ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে।
উক্ত ঘটনায় এই পর্যন্ত ১৫ জনকে মৃত এবং ৬৫জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
এর মধ্যে ১১জন রোহিঙ্গা নারী, ৪ জন শিশুর মৃতদেহ রয়েছে।
তথ্য নিয়ে আরো জানা যায়, ১১ ফেব্ররুয়ারী (মঙ্গলবার) সকালের দিকে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পূর্বজোনের সেন্টমার্টিন বিসিজি ক্যাম্পের একটি দল বাহারছড়া উপকূল হয়ে ছেড়ে আসা ২টি ট্রলার অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার কারণে সেন্টমার্টিন সংলগ্ন ছেড়াদ্বীপ গভীর বঙ্গোপসাগরের অদূরে দূর্ঘটনার কবলে পড়ে।
এরপর সংবাদ পেয়ে সেন্টমার্টিনে দায়িত্বরত কোস্টগার্ড ও নৌ-বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে ভাসমান অবস্থায় ১১জন নারী,৪ জন শিশুর মৃতদেহ এবং ৬৫ জন নারী-পুরুষকে জীবিত উদ্ধার করে সেন্টমার্টিন জেটি ঘাটে নিয়ে আসে।
উদ্ধারকৃতরা জানায়, তাদের সাথে ১২০ জন যাত্রী ছিল বলে জানায় জীবিতরা। উদ্ধারকৃত সবাই রোহিঙ্গা। তারা উখিয়া-টেকনাফে বসবাসরত বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পূর্বজোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেঃ কমান্ডার শুভাশীষ দাস জানান, এই পর্যন্ত ১৫ জনকে মৃত এবং ৬৫জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক নিখোঁজ রয়েছে।
মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। জীবিত উদ্ধার হওয়া মালয়েশিয়াগামীদের সেন্টমার্টিনে প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছে কোস্টগার্ড। নিখোঁজদের উদ্ধার করার জন্য অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে মানব পাচার প্রতিরোধ করার জন্য সরকার, আইন-শৃংখলা বাহিনী ও বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা প্রচার প্রচারনার মধ্যে টেকনাফ সদরের লম্বরী, হাবিরছড়া, মিঠাপানিরছড়া, বাহারছড়ার নোয়াখালী পাড়া, জুম্মাপাড়া,কচ্চপিয়া, বাঘঘোনাসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে মানব পাচারে জড়িত চিহ্নিত দালাল চক্রের সদস্যরা তাদের অপকর্ম অব্যাহত রেখেছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-