চকরিয়া প্রতিনিধি ◑
কক্সবাজার চকরিয়া উপজেলা জুড়ে এখন ইয়াবা সেবনের থাবা কোথায় পড়ে থাকে নি? আবাসিক হোটেল থেকে নিজস্ব বাড়ির রুমে। এরপর আস্তানা তৈরী করতেছে পরিত্যক্ত কিছু বাড়িতে। থেমে নেই ভয়াবহ মাদক সেবন।
শনিবার ২ ফেব্রুয়ারী সকালের দিকে চকরিয়া পৌরসভা থানার পার্শ্ববর্তী এলাকায় একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে ঢুকতে দেখা যায় ইয়াবা সেবনকারী ব্যবহৃত জিনিস গুলো দেখা মিলে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, বর্তমানে এলাকায় বিভিন্ন বসতবাড়ীতে এবং রাতের আধারে সরকারি হাসপাতাল, কলেজ, স্কুল পরিত্যাক্ত ভবনে প্রকাশ্যে ও বয়সের তরুনেরা ইয়াবা সেবন করছে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইয়াবা সেবনকারীরা বলেন, আমি ইয়াবার ছোবলে পড়ে পরিবারের মান-সম্মান বন্ধু বান্ধব সব হারিয়েছি। অনেক ছাত্র এখন মরণ নেশা ইয়াবা নেশায় আসক্ত। আগে হোটেল বা বন্ধু দের বাড়িতে বসে ইয়াবার সেবন করা যেতে। বন্ধুদের বাড়িতে জানতে পারলে আর যাওয়া হয় না। আর কয়েক ঘন্টার জন্য রুমের ভাড়া বেশী নেন তাই। কয়েক মিনিটের জন্য নির্দিষ্ট কোনো স্থানে এলাকার আশেপাশে পরিত্যক্ত বাড়ির ভিতরে ডুকে ইয়াবার সেবন করা হয়। নিরাপদ আশ্রয় আর রুমের টাকা আর প্রয়োজন হয় না টাকা ও সাশ্রয় হয়।
তিনি আরো বলেন, টাকা থাকলে হাত বাড়ালেই এখন ইয়াবা মেলে। বর্তমানে মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই চলে ইয়াবার কেনাবেচা। বিক্রেতাদের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে স্থানের কথা বললেই পৌঁছে দেওয়া হয়।
এমনকি পান দোকান, চা দোকান, যারা হেঁটে চা বিক্রি করছে- তাদের কাছেও পাওয়া যায়। তবে তাকে চিনে নিতে হবে। পরিচিত লোক ছাড়া ইয়াবা বিক্রি করে না তারা।
স্থানীয় একজন বলেন, মাদকের ভয়াবহতা আরো বেড়েছে। উঠতি বয়সের ছেলেরাই আসক্ত হচ্ছে বেশি। প্রশাসনের পাশাপাশি সামাজিকভাবেও আমাদের এগিয়ে আসতে হবে।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমান সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মাদক রোধে পুলিশ ব্যাপক ভূমিকা রাখছে ও এর পাশাপাশি প্রতি মাসের আইন-শৃঙ্খলার মিটিং-এ মাদক ব্যবসায়ীদের ধরিয়ে দেয়ার জন্য জনপ্রতিনিধি সচেতন মহলকে সাহায্যের আহ্বান জানাই।
মাদক নির্মূল সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন।প্রতিনিয়ত অভিযানে এ মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারী অর্ধেকে নেমে এসেছে। সচেতন মহল ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহায়তা করলে মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারী নির্মূল করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-