রাশেদুল ইসলাম জেলা আ.লীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কক্সবাজার জেলা শাখার কার্যনির্বাহী সংসদের সভা গতকাল ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভার আলোচ্য সূচী অনুযায়ী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী কেন্দ্রিয় কর্মসূচীর আলোকে যথাযোগ্য মর্যাদায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ ও উপজেলা/সাংগঠনিক উপজেলায় বছর ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়াও সরকার ঘোষিত বিভিন্ন কর্মসূচীতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতাকর্মী অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সাংগঠনিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, জেলার আওতাধীন সকল উপজেলার অসমাপ্ত ওয়ার্ড/ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন শুরু করা হবে। এ বিষয়ে সকল উপজেলা ও সাংগঠনিক উপজেলার সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। সভায় শীঘ্রই উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভার আলোচ্যসূচী অনুযায়ী সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রাশেদুল ইসলাম বিএনপি/জামায়াত ও স্বাধীনতা বিরোধী চক্রকে সাথে নিয়ে সরকার, সরকারের উন্নয়ন, সংগঠনের ভাবমূর্তি বিনষ্ট, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জননেতা মেয়র মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও সংগঠন বিরোধী বিভিন্ন কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে তাকে জেলা আওয়ামী লীগ হতে সাময়িক ভাবে বহিস্কার করা হয়। তাকে কেন স্থায়ী ভাবে বহিস্কার করা হবে না এ মর্মে ১৫দিনের মধ্যে জবাব দেয়ার জন্য কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তাঁর সংগঠন বিরোধী কার্যক্রমের বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের বরাবরে অবহিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় বলা হয় যেহেতু মেয়র মুজিবুর রহমান কক্সবাজার পৌরসভার মেয়রের পাশাপাশি কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগেরও সাধারণ সম্পাদক তার বিরুদ্ধে মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ কোন ভাবে জেলা আওয়ামী লীগ মেনে নিতে পারে না। সভায় মেয়র মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অসত্য, কাল্পনিক এবং মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করায় ডেলি স্টার ও দৈনন্দিন পত্রিকার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা/ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সেই সাথে তাদের যে সংগঠন রয়েছে সে সংগঠনকেও উক্ত পত্রিকা গুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহনের নিমিত্তে অবহিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ভবিষ্যতে জেলা আওয়ামী লীগের কোন নেতার বিরুদ্ধে কোন প্রকার আপত্তি থাকলে তা দলীয় ফোরামে আলোচনা করে তাকে সর্তক করা হবে।

যদি উক্ত নেতা জেলা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত অমান্য করেন তা হলে তার বিরুদ্ধে গঠনতান্ত্রিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন-বিএনপি-জামায়াত স্বাধীনতা বিরোধী চক্র নির্বাচন এবং আন্দোলনে পরাজিত হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। দলের সকল নেতাকর্মীদেরকে ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে সর্তক থাকার আহবান জানানো হয় এবং কোন প্রকার অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্রয় না দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী জননেতা ওবায়দুল কাদের এমপির রোগ মুক্তি কামনা করা হয়। কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জননেতা সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি সহ জেলা উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অসুস্থ সকল নেতাকর্মীদের রোগ মুক্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

সভায় বক্তব্য রাখেন-আশেক উল্লাহ রফিক এম.পি, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন, শাহ আলম চৌধুরী রাজা, এড. বদিউল আলম সিকদার, লেঃ কর্ণেল অবঃ ফোরকান আহমদ, মাহাবুবুল হক মুকুল, এড. রনজিত দাশ, মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী, এড. আব্বাস উদ্দিন চৌধুরী, এড. আয়াছুর রহমান, এড. ফরিদুল আলম, আবুহেনা মোস্তফা কামাল, খোরশেদ আলম কুতুবী, মোঃ ইউনুছ বাঙ্গালী, অধ্যাপক প্রিয়তোষ শর্মা চন্দন, ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, হেলাল উদ্দিন কবির, কাজী মোস্তাক আহমদ শামীম, এড. তাপস রক্ষিত, ড. নুরুল আবছার, এম.এ. মনজুর, আলহাজ্ব মকসুদ মিয়া, এড. সোলতানুল আলম, এড. অরুপ বড়ুয়া তপু, জিয়া উদ্দিন আহমদ, আমিনুর রশিদ দুলাল, শফিউল আলম চৌধুরী, শফিকুল কাদের শফি, মিজানুর রহমান, আলহাজ্ব সোনা আলী প্রমুখ।

আরও খবর