ডেস্ক রিপোর্ট ◑ কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং মেগা ক্যাম্পে মুসলিম ও খ্রিস্টান রোহিঙ্গাদের মাঝে ব্যাপক সংঘর্ষ, ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। রোববার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কুতুপালং – ২ ইষ্ট ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। রাত ১১ টার দিকে পুলিশ ও অন্যান্য আইন শৃংখলা বাহিনীর লোকজন গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এ ঘটনায় খ্রিস্টান রোহিঙ্গাদের ১৬/১৭ টি ঘর ভাংচুর হয়েছে। এসময় উভয় সম্প্রদায়ের ৭/৮ জনের মত আহত হয় বলে জানা গেছে। কুতুপালং অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা রোহিঙ্গা কমিউনিটির সেক্রেটারী মোঃ নুর জানান, কুতুপালং -১৮ নং ক্যাম্প থেকে আবদুস শুকুর(২৫) ক্যাম্প -২ ইষ্ট এ ই-১ ব্লকে তার পিতা মাতার কাছে বেড়াতে আসে।
রোববার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে দোকান থেকে পিতার ঘরে ফেরার পথে খ্রিস্টান রোহিঙ্গারা তাকে সন্ত্রাসী বলে প্রচন্ড মারধর কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। রাত ১১ টার দিকে আইন শৃংখলা বাহিনীর লোকজন আহতকে একটি এনজিও হাসপাতালে ভর্তি করায়।
খ্রিস্টান রোহিঙ্গাদের নেতা নুরু ফকির জানান,উক্ত মুসলিম যুবক রাতে খ্রিস্টান পল্লী দিয়ে যাওয়ার সময় অহেতুক খ্রিস্টানদের গাল মন্দ করতে থাকে। এসময় খ্রিস্টান কয়েকজন ছেলের সাথে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।এ ঘটনার জের ধরে পাশ্ববর্তী শত শত মুসলিমরা এসে খ্রিস্টান রোহিঙ্গাদের পল্লীতে নারকীয় তান্ডব চালায়।
তিনি জানান, মুসলিমদের তান্ডবে খ্রিস্টানদের মধ্যে চরম বিভীষিকাময়ের সৃষ্টি হয়। এসময় খ্রিস্টান রোহিঙ্গাদের ১৭ টি ঘর ভেঙে চুরমার করে দেয়া হয়। পরে রাত ১২ টার দিকে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা এসে খ্রিস্টানদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্হা করা হয়েছে।
কুতুপালং মধুরছড়া ১ নং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোবারক জানান খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে মুসলিম ও খ্রিস্টান রোহিঙ্গাদের মাঝে এ নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানা যায়।
কুতুপালং উক্ত ক্যাম্পের সহকারী ক্যাম্প ইন চার্জ (সিআইসি) আতাউর রহমান উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাংচুরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।তিনি বলেন, ঐ ব্লকে ১৭ খ্রিস্টান পরিবারের ৭০ জনকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তাদেরকে কুতুপালং জাতিসংঘের ট্রানজিট সেন্টারে রাখা হয়েছে। সেখানে তাদের নিরাপত্তায় পুলিশ ও আনসার ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-